প্রতীকী ছবি।
পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষের জেরে জখম হলেন অন্তত দশজন। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাসনাবাদের ভবানীপুর গ্রামে। দু’দলই দু’দলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে। প্রকাশ্যে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ দলে। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ভবানীপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ওই সময় তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। জানতে পেরে আরও বিজেপি কর্মী ঘটনাস্থলে আসেন। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। দা, ভোজালি, বাঁশ, রড নিয়ে একে অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে এক বিজেপিকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে আসেন বসিরহাটের বিজেপির সাংগঠনিক নেতা ফিরোজ কামাল গাজি। তাঁকে দেখে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
তৃণমূলের দাবি, এক বিজেপি নেতা বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোয় এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে। ওরাই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। পাল্টা এক বিজেপি নেতার দাবি, ভবানীপুরে তাঁদের কয়েকজন পতাকা লাগানোর সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে।