শোভন চট্টোপাধ্যায়।
নিজের ‘গড়’ হিসাবে পরিচিত বেহালা পূর্বে টিকিটই পেলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের দফতরে বিজেপি মহাসচিব অরুণ সিংহ পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণায় দেখা যায়, বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হেস্টিংসের অফিসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন পায়েল। সে দিনই তিনি জানিয়েছিলেন, দল চাইলে অবশ্যই ভোটে লড়াই করবেন। কিন্তু তখনও কেউ বুঝে উঠতে পারেননি, কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে সরিয়েই তিনি বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন। কিন্তু রবিবার দুপুরে দেখা গেল সেই সম্ভাবনাই ঘোর বাস্তব।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সাল থেকে লাগাতার তিনবার বেহালা পূর্বে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন শোভন। ২০০৬ সালে সিপিএম প্রার্থী কুমকুম চক্রবর্তীর কাছে ২৬ হাজার ভোটে পরাজিত হলেও, ২০১১ সালে পুনর্বিন্যাস করা বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের কুমকুমকে ৪৮ হাজার ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তার আগেই ২০১০ সালে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন শোভন। ২০১৬ সালে বেহালা পূর্বে বাম-কংগ্রেস সমর্থিক নির্দল প্রার্থী অম্বিকেশ মহাপাত্রকে ২৪ হাজার ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন। দ্বিতীয়বার বিধায়ক হলে তাঁকে মন্ত্রিসভাতেও জায়গা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার জেরে বাড়ি ও তৃণমূল দুইই ছেড়ে দেন শোভন। বিজেপি-তে যোগ দিয়েও, চলতি বছর জানুয়ারি মাসের আগে পর্যন্ত সেভাবে সক্রিয় হননি তাঁরা। কিন্তু শোভনই ছিলেন বিজেপি-র কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক। পদে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রার্থী করা হল না তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রে। আর সেই কারণেই বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপি ছাড়ার পথে শোভন।