—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটদাতা কোনও প্রার্থীর প্রতিই আস্থা রাখতে না পারলেও যাতে নিজের মত জানাতে পারেন, সেই উদ্দেশে ইভিএমে নোটা (নান অফ দ্য অ্যাবভ বা উপরের কেউই নয়) বোতাম রাখার সূচনা হয়েছিল। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ইভিএমে সব প্রার্থীর নাম এবং প্রতীক চিহ্নের শেষে নোটার বোতাম রাখা বাধ্যতামূলক করে কমিশন। কিন্তু সেই নোটাই যদি ভোটে বিজয়ী হয়, অর্থাৎ সব প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পায়, সে ক্ষেত্রে কী হবে, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে নোটিস পাঠিয়ে এই বিষয়ে উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে। পেশায় লেখক এবং মোটিভেশনাল স্পিকার শিব খেরা সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। নোটার চেয়ে কোনও প্রার্থী কম ভোট পেলে, পাঁচ বছরের জন্য তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
জনস্বার্থ মামলার আর্জিতে বলা হয়, নোটাকে একটি কাল্পনিক চরিত্র হিসাবে দেখা হোক এবং নোটার সপক্ষে কত ভোট পড়ছে তা সবিস্তারে নথিবদ্ধ করা হোক। শিবের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ। সওয়াল পর্বে তিনি গুজরাতের সুরাত কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। জনস্বার্থ মামলাটিতে বলা হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থায় নোটায় ভোট দেওয়ার সুযোগ আসলে ভোটারদের প্রত্যাখ্যানের অধিকারকে সুনিশ্চিত করে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, একই কেন্দ্রের প্রায় সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভোটদাতা কী করবেন? এ ক্ষেত্রে নোটা হল ভোটারদের সম্ভাব্য অস্ত্র।”
মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল নোটায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নোটার সমর্থনে ১.০৬ শতাংশ ভোট পড়ে।