—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সামনেই লোকসভা ভোট। বাংলায় ভোটে এ বার থাকছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁর উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্যই এই বন্দোবস্ত করেছে রাজ্যই। ভোটের দিন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য এই ব্যবস্থা থাকছে। ছোট ওই বিমানে আধুনিক হাসপাতালের আইসিইউ-র মতো সব সুযোগ-সুবিধাই থাকছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের আইজি (অর্গানাইজেশন) হৃষিকেশ মিনাকে। বিষয়টি রাজ্য পুলিশের তরফে সমস্ত জেলা পুলিশকে জানানোও হয়েছে। বাংলায় লোকসভা ভোট হচ্ছে সাতদফায়। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। গণনা ৪ জুন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৮ এপ্রিল থেকে ৪ জুন— এই ৪৮ দিনের জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ায় নেওয়া হচ্ছে। ১৭ এপ্রিলের মধ্যেই ওই ছোট বিমানটি কলকাতায় পৌঁছনোর কথা।
শুরুতে কলকাতা বিমানবন্দরেই ওই বিমানটি আসবে। পরে প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স শিলিগুড়ি যেতে পারে, আবার খড়্গপুরেও যেতে পারে। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি সংস্থার থেকে ৪৮ দিনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ায় নিতে খরচ হতে পারে ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ দিনে ৪ লক্ষ টাকা করে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দুই ইঞ্জিনের এই ছোট বিমানে আধুনিক হাসপাতালের আইসিইউ- র মতো সব সুযোগ- সুবিধাই থাকছে। থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা, থাকবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মনে করাচ্ছেন, ‘‘এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্সে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিশেষ সুবিধা থাকে। যাত্রার সময়ে যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না- হতে হয়, তাই আপৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে।’’
একে গরমকাল, তার উপর সাতদফায় ভোট।। তীব্র দাবদাহে ভোটকর্মী বা নিরাপত্তাকর্মীদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের কেউ জখম হতে পারেন। তেমন হলে যাতে দ্রুত চিকিৎসা হয়, সে জন্যই ওই বন্দোবস্ত। লোকসভা ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করে দিয়েছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গে এ বার সবমিলিয়ে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে।
লোকসভা ভোটের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রত্যেককে নিখরচায় চিকিৎসার (ক্যাশলেস ট্রিটমেন্ট) আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার, ঠিক যে সুবিধা পেয়ে থাকেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, সব কর্মচারী এবং পেনশনভোগীর জন্য ২০১৪ সালে তৈরি রাজ্যের ‘ক্যাশলেস মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট স্কিম’-এর আওতায় এই সুবিধা দেওয়া হবে রাজ্যে ভোটের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। ভোটের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেউ অসুস্থ হলে, দুর্ঘটনায় পড়লে বা অন্য কোনও ভাবে জখম হলে, তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্যই। ইতিমধ্যে বিষয়টি রাজ্য পুলিশের তরফে সমস্ত জেলা পুলিশকে জানানোও হয়েছে।