মালদহ টাউন-ভাটিন্ডা এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত।
রায়গঞ্জ, দার্জিলিঙের সঙ্গে ২৬ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রেরও। তার আগে, সোমবার থেকে মালদহ টাউন-ভাটিন্ডা এক্সপ্রেসের রুট সম্প্রসারণ করে বালুরঘাট পর্যন্ত চালানো শুরু হল। নিউ ফরাক্কা থেকে দিল্লির ট্রেন ভাটিন্ডা এক্সপ্রেস সপ্তাহে চার দিন এবং তিন দিন দু’টি আলাদা রুটে চলে। ওই দু’টি ট্রেনকেই বালুরঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছে। একলাখি এবং বুনিয়াদপুরে স্টপ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে বালুরঘাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করতে আসার এক দিন আগে ওই ট্রেন চালু হল।
ভোটের মুখে ওই ট্রেনের রুট সম্প্রসারণ নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, নির্বাচনের আগেই ওই ট্রেনের ঘোষণা হয়েছিল। বালুরঘাট লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের শিবিরের অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করতে রেল মন্ত্রককে ব্যবহার করছে বিজেপি। বালুরঘাট আসনে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তৃণমূলও চমক দিক না।
১৭ কামরার মালদহ-ভাটিন্ডা ফরাক্কা এক্সপ্রেস এ দিন বিকেলে বালুরঘাট ছেড়ে বুনিয়াদপুর এবং একলাখি হয়ে ভাটিন্ডার দিকে রওনা হয়। ট্রেনটি ছাড়ার সময় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে স্টেশনে পৌঁছে যান সুকান্ত। ইঞ্জিনের সামনে গিয়ে ফুল ছেটান। তার পরেই ট্রেনটি রওনা হয়। ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি ওঠে স্টেশন চত্বরে। যদিও এই কর্মসূচিকে ‘উদ্বোধন’ বলতে নারাজ সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। আমরা মানুষকে ট্রেনে করে দিল্লি পাঠালাম, এ বার মানুষ আমায় ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠাক।’’
গন্তব্যের এই বদল নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন বিপ্লব। বলেন, ‘‘নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মতো কাজ এটি। একটা নতুন ট্রেন চালুর সময় ইঞ্জিনের কাছে গিয়ে ফুল ছেটানোর পরে ট্রেনটিকে রওনা করা উদ্বোধন নয় তো কি? আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’ সোমবার রাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর। ভোটের জন্য রেলকে ব্যবহার করার অভিযোগ রেল সূত্রে খারিজ করা হয়েছে।
প্রান্তিক স্টেশন মালদহ থেকে বালুরঘাটে সরানোর প্রতিবাদে এ দিন মালদহ টাউন স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছলে জেলা নাগরিক কমিটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সেটি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। শামিল হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। পরে এডিআরএম শিবকুমার প্রসাদ তাঁদের অভিযোগ রেল বোর্ডকে জানানোর আশ্বাস দেন।