ধান্দালিবাড়ে মন্দিরে উত্তম বারিক। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
এ বার রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া কাঁথি। বর্তমান বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর আসনে তাঁর ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বিপক্ষে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক তৃণমূলের প্রার্থী। সৌমেন্দু ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছেন। আর আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উত্তমের প্রচার। গোড়াতেই অঞ্চল স্তরের সংগঠকদের নিয়ে কর্মী বৈঠক করার কথা তাঁর।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অনেকটা আগেই বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় কাঁথি কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দুর নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করছেন। মূলত ছোট ছোট কর্মী বৈঠক করছেন সৌমেন্দু। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। গত রবিবার ব্রিগেডের 'জনগর্জন সভা' থেকে লোকসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে কাঁথিতেও ঘাসফুলের দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে।
আজ, বৃহস্পতিবার ১২টি ব্লকের সংগঠকদের নিয়ে প্রথমে একটি কর্মী বৈঠক করার কথা তৃণমূল প্রার্থী উত্তমের। ওই বৈঠক কাঁথি শহরের টাউন হলে হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এর জন্য প্রস্তুতিও জোর কদমে চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের ওই বৈঠকের জন্য দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ৯৮টি অঞ্চলের সভাপতিদের কাছে ইতিমধ্যে দলীয়ভাবে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রতিটি অঞ্চল থেকে কমপক্ষে ১২ জন সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে যেতে হবে। মূলত লোকসভা ভোটের রণকৌশল এবং কী ভাবে আগামী দিনে প্রচার হবে, তা নিয়েই স্থানীয় সংগঠকদের বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের কাঁথি সংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলছেন, "টাউন হলে একটি প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে সব অঞ্চল সভাপতিদের মাধ্যমে ১২ জন কর্মীকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী-সহ জেলাস্তরের সব নেতা হাজির থাকবেন। প্রার্থী তাঁর প্রচারের কাজ শুরু করে দেবেন।" বিজেপির কাঁথি সংগঠনিক জেলা অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডলের কটাক্ষ, "যে কেউ প্রচার করতেই পারেন। তবে শাসকদলের যা দুরাবস্থা তাতে একটা অঞ্চল থেকে মাত্র ১২জনকে নিয়ে মিটিং করতে হচ্ছে।"
বুধবার অবশ্য দিনভর অন্য দিনের মতোই জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল প্রার্থী উত্তম। সকালে তিনি উত্তর কাঁথি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত বাথুয়াড়ি গ্রামে যান। বিকেলে গিয়েছিলেন কাঁথি ৩ ব্লকের ধান্দালিবাড় গ্রামে। স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি দোকানদারদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন উত্তম।