অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজস্থানে গিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। শনিবার রাজস্থানের কোটায় বিজেপির ‘বিজয় সঙ্কল্প মহাসম্মেলনে’ শাহ সরাসরি দাবি করেন, কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)-র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।
শাহ শনিবার বিজেপির সমাবেশে বলেন, ‘‘আপনারা যদি ২০১৯ সালে কংগ্রেসকে ভোট দিতেন, কোটা তা হলে পিএফআই-এর মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠত। আপনারা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভোট দিয়েছেন এবং তিনি পিএফআই শেষ করেছেন এবং তাদের নেতাদের জেলে পুরেছেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।’’ কৌশলে কেরলে কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ’ (আইইউএমএল)-এর সমঝোতার প্রসঙ্গও তোলেন শাহ।
২০২২ সালেকর সেপ্টেম্বর মাসে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় রাজনৈতিক সংগঠন পিএফআই করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে এনআইএ-র অভিযান চলছে। গ্রেফতার হয়েছেন সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী। কিন্তু পাল্টা অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত আদালতে কোনও নাশকতাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি পিএফআই-এর যোগসূত্র প্রমাণ করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
২০১৯ সালে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদের সূত্রে দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পিএফআই-এর বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশে হিংসার ‘মূল ষড়যন্ত্রী’ হিসাবে পিএফআই-কে চিহ্নিত করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অন্য দিকে, বছর দু’য়েক আগে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় এসডিপিআই এবং ‘আল হিন্দ’-এর মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের নাম উঠে এসেছিল।