দিল্লিতে দল ছাড়লেন কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন বিধায়ক। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে আবারও ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এক সঙ্গে দল ছাড়লেন কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন বিধায়ক। কংগ্রেস ত্যাগের নেপথ্যে আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে জোটকেই বিঁধলেন তাঁরা। বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন নীরজ বাসোয়া এবং নসীব সিংহ।
দিন দুয়েক আগেই দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অরবিন্দর সিংহ লাভলি ইস্তফা দিয়েছিলেন। দিল্লিতে কংগ্রেস-আপের জোট এবং কংগ্রেসের তরফে কানহাইয়া কুমারের মতো ‘দিল্লিতে অপরিচিত’-দের প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তখনই কংগ্রেসে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল, লাভলির হাত ধরে পুরনো কংগ্রেস নেতা দল ভেঙে বেরিয়ে পৃথক গোষ্ঠী তৈরি করতে পারেন। বুধবার কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন বিধায়কের দল ছাড়ার পর সেই জল্পনা আরও চওড়া হল বলেই মত অনেকের।
খড়্গকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস ছাড়ার নেপথ্যে দবিন্দর যাদব এবং আপকে নিশানা করেছেন নসীব। তিনি লেখেন, ‘‘পঞ্জাবে ভোটপ্রচারে গিয়ে দবিন্দর অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মিথ্যা এজেন্ডাকে আক্রমণ করেছেন। এখন দিল্লিতে তাঁকে আপ এবং কেজরীওয়ালের প্রশংসা করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, লাভলি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার পরে দবিন্দরকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নীরজও দিল্লিতে আপের সঙ্গে জোট করাকে দল ছাড়ার জন্য দায়ী করেছেন।
পঞ্জাবে কংগ্রেস এবং আপ একলা চলার নীতি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে। কিন্তু দিল্লিতে দুই দল আসন সমঝোতা করে লড়ছে। সাত আসনের দিল্লিতে কংগ্রেসকে তিনটি আসন ছেড়েছে কেজরীওয়ালের দল। কংগ্রেসের এক সূত্রের দাবি, আপের সঙ্গে সমঝোতা করার বিষয়ে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আপত্তি তো আছেই, গুজরাত কিংবা পঞ্জাবের মতো রাজ্যেও কংগ্রেস নেতারা চাইছেন না আপের সঙ্গে হাত মেলাতে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি কংগ্রেসকে দুর্বল করে এবং ভোটে দলের ভোট কেটে প্রকারান্তরে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে কেজরীওয়ালের দল।