প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
খোদ নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে এ বার লোকসভা ভোটের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই বিজেপি প্রার্থী।
ভাদোদরা কেন্দ্রের সাংসদ রঞ্জাবেন ভট্ট ও সবরকণ্ঠ কেন্দ্রের প্রার্থী ভিকাজি ঠাকোর এ দিন সমাজমাধ্যমে জানান, তাঁরা ‘ব্যক্তিগত কারণে’ লোকসভা ভোটে লড়তে চান না।
২০১৪ ও ২০১৯ সালে গুজরাতে ২৬টি আসনই দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু এ বার ভাদোদরায় রঞ্জাবেন ভট্টের প্রার্থিপদ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয় বিজেপির অন্দরেই। দল থেকে ইস্তফা দেন বিজেপির জাতীয় মহিলা শাখার উপসভাপতি জ্যোতিবেন পাণ্ড্য। ভাদোদরা শহরে টাঙানো ব্যানারে স্পষ্টই লেখা হয়, ‘‘মোদী তুঝসে বৈর নহি, রঞ্জন তেরি খ্যয়র নেহি। (মোদীকে নিয়ে সমস্যা নেই, কিন্তু রঞ্জন (রঞ্জাবেন) ভট্টকে আমরা ছাড়ব না।’’
রঞ্জাবেনের অবশ্য দাবি, ‘‘আমি প্রার্থনায় বসার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম ভোটে লড়ব না। জ্যোতিবেন বা ব্যানারের জন্য আমি সরে দাঁড়াচ্ছি না। কিন্তু কিছু লোক ভাদোদরাকে অপমান করছে। তাই আমার সরে দাঁড়ানোই ভাল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি কর্মী ও ভোটারেরা জানেন তাঁদের বোন তাঁদের জন্য কাজ করছেন। কাজ করার জন্য সাংসদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি আজও কাজ করতে রাজি।’’
রঞ্জাবেন সরে দাঁড়ানোয় স্পষ্টতই খুশি প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী জ্যোতি পাণ্ড্য। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের স্বর প্রধানমন্ত্রী মোদী পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাতেই পরিবর্তন এসেছে। আমার বিশ্বাস আমরা ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে এগোতে পারব।’’
কংগ্রেসের আমি রাভাতের বক্তব্য, ‘‘রঞ্জাবেনের বিরুদ্ধে দলের অন্দর থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রবল হয়েছিল অসন্তোষ। ফলে বিজেপি হাই কমান্ডের নির্দেশেই তাঁকে সরতে হয়েছে।’’ আমির দাবি, ‘‘রঞ্জাবেনের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। মানুষ জানেন তিনি কেন্দ্রের জন্য কোনও কাজ করেননি। তাঁরা মনে করেন ভাদোদরার বদলে বর্তমান সাংসদ নিজের উন্নয়নে মন দিয়েছিলেন।’’ আমির দাবি, এই আসনে জয় হবে কংগ্রেসের।
বনসকণ্ঠ কেন্দ্রের প্রার্থী ভিকাজি ঠাকোরও ‘ব্যক্তিগত কারণ’-এর কথা জানিয়েছেন।
এর আগে একটি ‘অশ্লীল ভিডিয়ো’ ভাইরাল হওয়ায় উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি কেন্দ্রের প্রার্থিপদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন উপেন্দ্র সিংহ। বিতর্কের জেরে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থিপদ থেকে সরে যান ভোজপুরি গায়ক পবন সিংহ।