—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ সামনে রেখেই রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম ১০ দিন নিজের কেন্দ্রে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস প্রকল্পের প্রাপ্যের উপরে জোর দিয়েই প্রচারে নামতে বলা হয়েছে সব দলীয় প্রার্থীকে। তৃণমূলের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও এই পর্বে বাড়ি বাড়ি বঞ্চনার কথা পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।
নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও রাজ্যে একমাত্র তৃণমূলই সব কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। তাই ভোটের আগে যত বেশি সম্ভব সময় প্রচারে ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টাও শুরু হয়েছে। এ বারেও দলের প্রচারের দুই মুখ হিসেবে সামনে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যের ৪২ আসনেই মমতা ও অভিষেকের অন্তত একটি করে বড় কর্মসূচির কথা ভাবা হয়েছে। তার আগে ‘নির্বাচনের মেজাজ’ তৈরি করতে প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় এই ‘অধিকার যাত্রা’র পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই কর্মসূচি নিয়ে বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজ্যের সব পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পুরসভা তৃণমূলের দখলে। আর কী অধিকার চায় তারা! তার পরেও তৃণমূল অধিকারের কথা বলে, এর চেয়ে বেশি হাস্যকর আর কিছু হতে পারে না!’’ রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের জনহিতকর প্রকল্পের টাকা মানুষের কাছে ফিরে আসার মাঝখানে অন্তরায় দাঁড়িয়েছিল তৃণমূলের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও লুট। যদি তারা মানুষের কাছে পৌঁছন, মানুষ এই ক্ষোভ জানাবেন।’’