নন্দীগ্রামে চোর স্লোগান শুনলেন শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় আসছে। সেই খবর পেয়ে দলীয় পতাকা হাতে, মাইক বাজিয়ে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তুলল তৃণমূল। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে সামসাবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর উদ্দেশে ওই স্লোগান দিল তৃণমূল। তবে এ সব উপেক্ষা করেই এগিয়ে যায় শুভেন্দুর কনভয়। পরে এই ঘটনাকে নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘হাতি বাজারে চললে পেছনে অনেকেই চিৎকার করবে!’’
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নন্দীগ্রামের আমগাছিয়ায় জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি আসছেন এই খবর পেয়েই সামসাবাদের বুড়ির মোড়ের কাছে জড়ো হন বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। মাইকে ক্রমাগত শুভেন্দুর উদ্দেশে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলা হয়। শুভেন্দুর কনভয় যত এগিয়ে আসে, তৃণমূলের ‘চোর’ স্লোগানের তীব্রতাও তত বৃদ্ধি পায়। তবে স্লোগান শুনলেও অন্যান্য বারের মতো গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটেননি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। দ্রুতগতিতে সভার দিকে যেতে থাকে শুভেন্দুর কনভয়।
পরে সভায় পৌঁছে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ফিরোজা বিবিকে বিধায়ক করেছিল এই লোকটাই। গত বিধানসভার সময় এখানকার মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। এ বার তাঁরা ভুল শুধরে নেবেন। এ বার নন্দীগ্রামে ৩০ হাজার ভোটের লিড পাবে বিজেপি।’’ পাশাপাশি, তাঁর কটাক্ষ, হাতি বাজারে রওনা দিলে অনেকেই চিৎকার করে। কিন্তু তাতে হাতির কিছুই আসে যায় না।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে একই ভাবে ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। এ নিয়ে সেই সময় বাক্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি। দেবাংশুও পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ‘ধাক্কা খান’ বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ বার শুভেন্দুকে ‘চোর-চোর’ স্লোগান শুনতে হল সেই নন্দীগ্রামেই।