প্রার্থী-পরিচিতির মঞ্চে সিএএ-বিরোধিতা
Lok Sabha Election 2024

‘দ্বন্দ্ব’ ভুলে এক জোট হতে ডাক দুই আসনে

বুধবার মালদহের সানাউল্লা মঞ্চে জেলার দুই প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। সে বৈঠকে ব্লক, অঞ্চল নেতৃত্বের সঙ্গে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৭
Share:

হাত ধরাধরি করে মালদহ উত্তর ও দক্ষিণের তৃণমূলের দুই লোকসভার প্রার্থী। ইংরেজবাজারের সানাউল্লাহ মঞ্চে। ছবি স্বরূপ সাহা

প্রার্থী-পরিচয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চ। সে মঞ্চেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে সুর চড়ালেন উত্তর এবং দক্ষিণ মালদহের তৃণমূলের দুই প্রার্থীই। তিনি লন্ডনের রাস্তায় সিএএ-বিরোধী স্লোগান দিয়ে হেঁটেছিলেন বলে দাবি করেন দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান। তাঁর সুরেই সিএএ নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি, সীমান্তে বিএসএফের গতিবিধি নিয়ে সরব উত্তর মালদহের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-কে সামনে রেখে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফল জেলায় ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল শিবির।

Advertisement

বুধবার মালদহের সানাউল্লা মঞ্চে জেলার দুই প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। সে বৈঠকে ব্লক, অঞ্চল নেতৃত্বের সঙ্গে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন। তবে বৈঠকে ছিলেন না তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম নুর, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী বলেন, “বৈঠকে থাকার জন্য সবাইকে জানানো হয়েছিল।” অসুস্থ থাকায় মৌসম এবং নীহার বৈঠকে থাকতে পারেননি বলে তিনি জানান। এ দিন বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়ানোর বার্তা দেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, “বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির, ব্লক নেতার সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্যের দ্বন্দ্বের প্রভাব যেন প্রার্থীদের উপরে না পড়ে। জোটবদ্ধ হয়ে জেলার দুটি কেন্দ্রে জয়ী হতে হবে।” বিধানসভা ভোটের সময় এনআরসি, সিএএ-বিরোধিতার হাওয়ায় ১২টি আসনের আটটিতেই তৃণমূল জয়ী হয়। চারটি বিধানসভায় জয়ী হয় বিজেপি। সোমবার রাত থেকে সিএএ জারি হতেই আসরে নেমেছে তৃণমূল। এ দিন প্রার্থী পরিচিতি পর্বে মালদহের দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ বলেন, “লন্ডনের রাস্তায় সিএএ-র বিরোধিতা করায় বিজেপির কাছে আমি দেশদ্রোহী হয়ে গিয়েছি। আমি দেশের বিরুদ্ধে নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির জবাব দিতে আমি ময়দানে নেমেছি।” অপর প্রার্থী প্রসূন বলেন, “সিএএ-র নামে বিজেপি মানুষকে ভাগ করছে। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি রুখে দিতে ময়দানে নেমেছি।” এরই পরে বিএসএফকে আক্রমণের সুরে জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার প্রসূন বলেন, “বিজেপির কথা মতো সীমান্তে বিএসএফ মানুষকে হয়রানি করলে, আমি রুখে দাঁড়াব।” কিছু বলতে চাননি বিএসএফের জেলার কর্তারা। তবে বিজেপির উত্তর মালদহের প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়ে এখন সিএএ, বিএসএফের কথা তুলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement