বার্নপুরে কর্মিসভায়। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে এলাকা থেকে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর বিষয়ে আসানসোল দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, গত উপ-নির্বাচনের তুলনায় এ বার ভোটের ব্যবধান বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে জন্য কী কী করতে হবে, সে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা নেতৃত্ব। যদিও সে আশা পূরণ হবে না বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতৃত্বের।
সোমবার বার্নপুরের সম্প্রীতি প্রেক্ষাগৃহে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট-প্রস্তুতির সভা আয়োজন করে তৃণমূল। ছিলেন দলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এ বার লোকসভা ভোটে তাঁকেই প্রার্থী করা হতে পারে বলে কয়েক দিন আগে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রার্থীকে জেতাতে কী করতে হবে, কর্মীদের কাছে ব্যাখ্যা করেন দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। পর পর দু’টি লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল উল্লেখযোগ্য ফল করতে পারেনি। তাই এই কেন্দ্র সম্মানের লড়াই হিসেবে নিয়েছি।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের কর্মীদের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, এ বার অন্তত ২৫ হাজার ভোটে এই কেন্দ্রে প্রার্থীকে এগিয়ে রাখতে হবে। গত উপ-নির্বাচনে এখানে ২০,৮৫০ ভোটে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের থেকে এগিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তার আগে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে হারান অগ্নিমিত্রা।
তৃণমূলের এই লক্ষ্যমাত্রাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ অগ্নিমিত্রা। তিনি এ দিন দাবি করেন, গত উপনির্বাচনে তৃণমূল ভয় দেখিয়ে, ভোট লুট করে জিতেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার আর তা হবে না। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনিতেই মানুষ ক্ষিপ্ত। এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হবে। ভোট লুট করতে এলে তৃণমূলের বিপদ বাড়বে।’’ অগ্নিমিত্রার আরও দাবি, তৃণমূল প্রার্থী তো আসানসোলের মানুষ নন। এখানকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তিনি উপলব্ধি করতে পারবেন না। যিনি এখানকার মানুষের মন বোঝেন, এমন কাউকে শিল্পাঞ্চলবাসী বেছে নেবেন।
শত্রুঘ্নের পাল্টা দাবি, তিনি মাসে অন্তত ১৫ দিন করে আসানসোলের জন্য সময় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘শিল্পাঞ্চলের একাধিক বিষয় সংসদে তুলেছি। এলাকার উন্নয়নে সাংসদ তহবিল থেকে ব্যয় করেছি। সকলেই তা জানেন।’’