দলের কর্মিসভায় মলয় ঘটক। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি এলাকায় ‘পরাক্রম দিবস’ কর্মসূচি পালন করেছে কিছু দিন আগেই। আসানসোলের রেলপারে এ বার দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বার্তা দিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেই সঙ্গে, ভোট এলেই এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের আনাগোনা দেখা যায় বলে কটাক্ষ করেন তিনি। দলের কাজের জন্য এলাকায় নতুন একটি কমিটিও গঠন করেছেন তিনি।
আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকার রেলপারে আসানসোল পুরসভার ২৪ থেকে ৩০ নম্বর— মোট সাতটি ওয়ার্ড রয়েছে। সংখ্যালঘু প্রধান এই এলাকায় চারটি ওয়ার্ডে ক্ষমতায় আছে বিরোধীরা। দু’টি করে ওয়ার্ড বিজেপি ও কংগ্রেসের দখলে আছে। তিনটিতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। গত লোকসভা ভোটেও এই ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার কর্মিসভায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মলয়। তিনি বলেন, ‘‘এই ওয়ার্ডগুলিতে দলের ফল কেন সন্তোষজনক হচ্ছে না, তা নিয়ে কর্মীদের বৈঠকে পর্যালোচনা হচ্ছে।’’
২৩ জানুয়ারি রেলপার অঞ্চলে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে পরাক্রম দিবস কর্মসূচি পালন করে। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ভাবে ওই কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যদিও বাধা অতিক্রম করে কর্মসূচি পালিত হয় ও রেলপারের শ’দেড়েক সংখ্যালঘু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দেন বলেও দাবি করেছিলেন অগ্নমিত্রা। রবিবার তৃণমূলের কর্মিসভায় সে প্রসঙ্গ তুলে মলয় ঘটক অভিযোগ করেন, ভোটের মুখে বিজেপির নেতানেত্রীদের এলাকায় আসতে দেখা যাবে। তাঁরা সাধারণত অন্য সময়ে বাড়ির বাইরে বেরোন না, মানুষের দুঃখ-কষ্টের খোঁজ রাখেন না। বুথ স্তরে বিরোধীদের মোকাবিলা করার বিষয়ে পরামর্শ দেন মলয়। একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন তিনি। পরে মহিলা ও যুবদের জন্য আলাদা কমিটি করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রার পাল্টা দাবি, সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে এত দিন বিজেপির থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। তাঁরা সব বুঝতে পারছেন। অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, ‘‘বিজেপি আবার আসানসোল লোকসভা আসনটি পুনরুদ্ধার করবে, তা নিশ্চিত।’’