তালড্যাংরার রাজপুরে জলের সমস্যার কথা শুনছেন সুজাতা-সহ সভাধিপতি ও বিধায়ক। ছবি: শুভ্র মিত্র ।
ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে পাইপলাইনে জল না পাওয়ার অভিযোগ শুনতে হল তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষও। তবে তাঁরা সবাই জল-সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন এলাকাবাসীকে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইদের খুশির আমেজ ছিল তালড্যাংরা ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রাজপুরে। লাইব্রেরি মোড়ে সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল দেখার মত। স্থানীয় আমড্যাংরা পঞ্চায়েতের প্রধান হাসানুর খান দাবি করেন, কোন দলই তাঁদের এলাকায় এখনও প্রচারে যায়নি। তাই সুজাতা আসছেন শুনে অনেকেই এসেছেন।
বেলায় সেখানে এসে চা পান করে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ভোট চাইতে শুরু করেন সুজাতা। প্রথমে মিষ্টির দোকানে বয়স্কদের কাছে আশীর্বাদ নেওয়া, ধীর পায়ে নবীনদের আড্ডায়, পান দোকানির সঙ্গে গল্পগাছাও করেন।
কিন্তু তার পরেই কাটল তাল। রাস্তার ধারে পানীয় জলে ট্যাপকলের প্রচুর খালি বালতি রেখে দাঁড়িয়েছিলেন স্থানীয় মহিলারা। সুজাতা তাঁদের কাছে ভোট চাইতেই ধেয়ে এল প্রশ্ন— ‘‘দিদি জল পাই না। মাঝে মধ্যে নিজেরাই খরচ করে কল মেরামত করি। আপনাকে কাছে পেলাম, তাই বললাম। একটু দেখুন। উৎসবের মরসুমেও বাড়িতে জল বাড়ন্ত।’’ শুনে বিব্রত প্রার্থী। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। সুজাতা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি শুনলাম। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি গুরুত্ব -সহকারে দেখতে বলেছি।’’
স্থানীয় আমড্যাংরা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হাসানুর খান দাবি করেন, ‘‘এলাকায় জলের কোনও সমস্যা নেই। একটা পাড়াতেই একটু আছে।পঞ্চায়েত থেকে পাইপলাইনে দিনে তিন বেলা জল দেওয়া হয়। মাঝে মধ্যে জল যায় না। তাঁরা এখন ঘরে ঘরে পাইপলাইনে জল চাইছেন। পঞ্চায়েতের কোনও এলাকায় তা চালু হয়নি। পরিস্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে।’’
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় বলেন, ‘‘জলস্তর নামছে। তাই সমস্যা একটু হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’ একই কথা শোনার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়-ও।