Lok Sabha Election 2024

ভুঁড়ি কমান, প্রচারের ফাঁকে পুলিশকে পরামর্শ কীর্তির

ভুঁড়ি নিয়ে পুলিশ মহলে চিন্তার শেষ নেই। থানায় থানায় মাল্টিজ়িম চালু হয়েছিল। অনেকেই নিয়মিত যান সেখানে। আবার অনেকের শরীরের আগে চলে পেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ ০৮:১০
Share:

প্রচারে নাচে মাতলেন কীর্তি আজাদ। ছবি: উদিত সিংহ।

বর্ধমান: কয়েক বছর আগে কলকাতা হাই কোর্টে পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। আদালতে আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, কোথাও দেখা যাচ্ছে মোটাসোটা, ভুঁড়িধারী পুলিশকর্মী থানায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। কোথাও দেখা যাচ্ছে, বসে বসে ঘুমোচ্ছেন। তাঁর মতে, ভুঁড়ির ঠেলায় চোরের পিছনে ছুটতে গিয়ে পুলিশের হা-ক্লান্ত দশা, আর চোর পগারপার! মামলার শুনানিতে হাই কোর্টও ভুঁড়িধারী পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ বার ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বর্ধমানের এক পুলিশকর্মীর পেটে হাত দিয়ে তাঁকে ভুঁড়ি কমানোর পরামর্শ দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ।

Advertisement

ভুঁড়ি নিয়ে পুলিশ মহলে চিন্তার শেষ নেই। থানায় থানায় মাল্টিজ়িম চালু হয়েছিল। অনেকেই নিয়মিত যান সেখানে। আবার অনেকের শরীরের আগে চলে পেট। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন কীর্তি। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, বিধায়ক (বর্ধমান উত্তর) নিশীথ মালিকেরা। ছিল হরেক বাজনা। প্রচারের ফাঁকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শক্তিগড় থানার এক এএসআই তৃণমূল প্রার্থীর পাশে চলে আসেন। তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় মানুষজনের দাবি, হাঁটার ফাঁকেই জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ওই এএসআইয়ের ভুঁড়িতে হাত দিয়ে তা কমানোর কথা বলেন। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “প্রার্থী ঠিক কী বললেন, বাজনার আওয়াজে অবশ্য স্পষ্ট বোঝা যায়নি।”

এর আগে বর্ধমান শহরে প্রচারে নেমে খেলার মাঠে গিয়ে ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদেরও মেদ কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন কীর্তি। এ দিন প্রচারের শেষ তিনি বলেন, “আমি সবাইকে বলি শরীর ঠিক রাখতে। শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকলে, মাথা ভাল কাজ করবে, উজ্জীবিত থাকতে পারবেন। সেই পরামর্শই পুলিশকে দিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওঁকে বলেছি, আমার সঙ্গে প্রতিদিন হাঁটুন, আমি আপনাকে ‘ফিট’ করে দেব।”

Advertisement

প্রচারের ফাঁকে হাটগোবিন্দপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে কীর্তি দলীয় পতাকা নিয়ে মাদলের সঙ্গে রাস্তায় নাচতে শুরু করেন। তাঁর কথায়, ‘‘কর্মীদের উৎসাহ ছিল। বাজনা বাজছে, তখন তো নাচতে মন চাইবেই।” বিকেলে স্থানীয় বলগোনা গ্রামে শিঙাড়া ভাজতে ও দোকানে চা বানাতেও দেখা যায় তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement