প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে সর্বত্র বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালনের ‘গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি। আজ মোদীর এই ‘গ্যারান্টি’ নিয়েই তাঁকে তথা বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় ও সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। আজ তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দত্তক নেওয়া গ্রামের দীর্ণ ছবি তুলে ধরে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁরা একই সঙ্গে কটাক্ষ করেন মোদীর ‘গ্যারান্টি’কেও। যে ভাবে দিল্লি থেকে ওই দুই নেতা আজ আক্রমণ শানিয়েছেন, তা দেখে অনেকেই মনে করছেন, সন্দেশখালি-গার্ডেনরিচের মতো ঘটনায় কোণঠাসা হয়ে পড়া তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি-বিরোধী লড়াইকে দিল্লি নিয়ে আসার কৌশল নিয়ে এগোতে চাইছেন।
এ বারের ভোটে মোদীর প্রচারের অন্যতম বিষয় হল ‘মোদী গ্যারান্টি’। আজ বাবুল-সাগরিকাদের বক্তব্য, মোদী যে গ্যারান্টির কথা বলছেন, তা যে কতটা ভাঁওতা, তা বারাণসীতে মোদীর দত্তক নেওয়া গ্রামগুলিতে ঘুরলেই বোঝা যায়। বাবুলদের কথায়, ‘‘ওই গ্রামগুলির অবস্থা বেহাল। পানীয় জলের অভাব রয়েছে। পানীয় জল থাকলেও তাতে ক্ষতিকর খণিজ পদার্থ মিশে রয়েছে। অধিকাংশ শৌচালয় অব্যবহারযোগ্য।’’ তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন, ‘‘এটাই কি গ্যারান্টির হাল?’’ পাশাপাশি প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে পনেরো লক্ষ টাকা দেওয়া, কালো টাকা ফেরানোর মতো বিষয়গুলির কী হল, তা নিয়েও খোঁচা দেন
তৃণমূল নেতৃত্ব।
একই সঙ্গে মমতার দেওয়া ‘গ্যারান্টি’ প্রসঙ্গ টেনে বাবুল বলেন, ‘‘মোদীর আর দিদির গ্যারান্টির মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য। দিদি বাস্তবে কাজ করেন। সেখানে মোদীর গ্যারান্টি কেবল বিজ্ঞাপনেই সীমাবদ্ধ থাকে।
বেশ কিছু দিন ধরেই নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিরোধীরা। কখনও ইভিএম ঘিরে সন্দেহ, কখনও শাসক দলের মতো সমান সুযোগ না পাওয়া, শাসক দলের নেতাদের আচরণবিধি ভাঙা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের নরম মনোভাব নেওয়ার মতো বিষয় নিয়ে সরব বিরোধীরা। এই আবহে নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ভোট করানোর দাবি তুলেছেন তৃণমূলের আরেক সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আজ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবুলরা বলেন, ‘‘বিষয়টির আইনগত দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’