—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ঘোষণা হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে এই প্রকল্প নিয়ে বুথ স্তর পর্যন্ত যাতে প্রচার পৌঁছয়, সে বিষয়ে সক্রিয় হল জেলা তৃণমূল। শনিবার থেকে ব্লকে ব্লকে সে জন্য মিছিল, সভা শুরু করেছে মহিলা তৃণমূলের তরফে।
এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে অনুদান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। তফসিলি জাতি, উপজাতির ক্ষেত্রে তা হয়েছে ১২০০ টাকা। তৃণমূল নেতাদের দাবি, বাজেটে এমন ঘোষণার পরে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের মুখে হাসি ফুটেছে। তার প্রতিফলন ভোট বাক্সেও যাতে পড়ে, সে জন্য মরিয়া দল। ইতিমধ্যে দলের মহিলা শাখা নানা জায়গায় কর্মসূচি করে প্রচার সেরেছে।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বাসিন্দা, মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভানেত্রী আরতি খানের দাবি, ‘‘বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডারে অর্থ বৃদ্ধির ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। মিছিলে মেয়েদের ভিড় বলে দিচ্ছে তাঁরা কতটা খুশি।’’ পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘‘প্রকল্পটি নিয়ে একেবারে নিচু স্তরে পৌঁছতে বলা হয়েছে দলীয় কর্মীদের। কোনও মহিলা এই প্রকল্পের বাইরে রয়েছেন, প্রকল্পের সুবিধা পেতে অসুবিধা হচ্ছে কি না, সে সব তাঁরা খুঁটিয়ে দেখছেন। এ ছাড়া কৃষকবন্ধু, বিনা পয়সায় রেশন-সহ নানা প্রকল্পের সুবিধাও তুলে ধরছি।’’ জেলার এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘‘অনুদান বেড়ে যাওয়ায় আমরা মহিলাদের মধ্যে ভাল সাড়া পাচ্ছি। ভোটের আগে এই প্রকল্প আমাদের বড় তাস।’’
কালনার বিধায়ক তথা তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। রাজ্যের অর্থাভাব সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা দিতে কার্পণ্য করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ আমরা গ্রামের মানুষকে বলছি। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে একটি ট্যাবলো শীঘ্র গ্রামে গ্রামে যাবে।’’ বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। দুর্নীতিতে সরকার ডুবে রয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারে কিছু টাকা বাড়ানো হলেও মেয়েদের ক্ষোভ কমবে না।’’