—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের আগে পুরোহিত সংবর্ধনার আয়োজন করল তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূলের তরফে ক্ষীরগ্রামের একটি কমিউনিটি হলে শতাধিক পুরোহিতকে নামাবলি ও ফুল-মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দিন কয়েক আগে মঙ্গলকোটেরই ধারসোনায় মোয়াজ্জেম সংবর্ধনার আয়োজন করে তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে ভোট টানতে তৃণমূলের এই কর্মসূচি। তৃণমূল নেতাদের যদিও দাবি, এ সবের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূলের সরকার ইমাম-মোয়াজ্জেমদের জন্য ভাতা চালু করে। সে নিয়ে বিতর্ক বাধে। পরে পুরোহিত ভাতাও চালু করে রাজ্য। মঙ্গলকোট ব্লকে প্রায় ৬৫% হিন্দু এবং ৩৫% মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়া এই ব্লকে গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও, ভাল ভোট পেয়েছিল বিজেপিও। মোয়াজ্জেম ও পুরোহিত সংবর্ধনা নিয়ে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর যদিও দাবি, ‘‘শুধু ভোট নয়, এই ধরনের অনুষ্ঠান আমরা মাঝে মধ্যেই করে থাকি।’’ পুরোহিত সঞ্জয় চক্রবর্তী, পীযূষ শর্মারা বলেন, ‘‘তৃণমূলের সংবর্ধনায় আমরা খুশি। রাজনীতি হোক বা অন্য কোনও কারণ, পুরোহিতদের সম্মান করার প্রবণতা ভাল লক্ষণ।’’
বিজেপির দাবি, মঙ্গলকোটের বেশ কিছু গ্রামে তাদের প্রভাব সম্প্রতি বেড়েছে। তাই সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখার চেষ্টার পাশাপাশি, হিন্দু ভোট ভাগ করার খেলায় নেমেছে তৃণমূল। সে কারণেই মোয়াজ্জেম ও পুরোহিতদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।মঙ্গলকোটের বিজেপি নেতা রানাপ্রতাপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘পুরোহিতদের কথা এত দিন তৃণমূলের মনে পড়েনি। ’’
এলাকার সিপিএম নেতা শাজাহান চৌধুরীর দাবি, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ধর্মের রাজনীতির প্রতিযোগিতা চলছে।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা সব ধর্মকেই সম্মান করি। বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল বলেই রাজনীতি করতে চাইছে।’’