স্বপন মজুমদার। — ফাইল চিত্র।
বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে রবিবারই বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার পর থেকেই স্বপনের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের পুরনো অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছে তৃণমূল। গ্রেফতার হওয়ার কথা স্বীকার করে স্বপনের দাবি, তৃণমূলই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) স্বপনকে নিশানা করে লিখেছেন, ‘‘ইনিই কি বিজেপির এ বারের বারাসতের প্রার্থী? যদি হন, তা হলে তিনি মাদক-কাণ্ডে ঘোষিত অপরাধী। বিজেপি ব্যাখ্যা দিক।’’ কুণাল তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে একটি খবরের কাগজের কাটিং ও ২০২১-র বিধানসভা ভোটে মনোনয়নপত্রে স্বপনের উল্লেখ করা, মাদক আইনে মামলা থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও তৃণমূল স্বপনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হয়েছিল। এ বারও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে মাদক পাচার করার সময় অসম পুলিশ স্বপনকে গ্রেফতার করে। স্বপনকে বিঁধে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সত্যসেবী করও বলছেন, ‘‘রাজনীতি কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, নেশার সামগ্রী পাচারে অভিযুক্ত একজনকে বিজেপি প্রার্থী করল!’’
পাল্টা যুক্তি দিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থী বিরুদ্ধে মামলা আছে জেনেই মানুষ তাঁকে বিধায়ক করেছেন। সাংসদও করবেন। অভিযোগ থাকা মানেই দোষী সাব্যস্ত হওয়া নয়।’’ স্বপনের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘২০১৬-১৮ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় তৃণমূল ফাঁসিয়েছিল। শয়ে শয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীকে মাদক আইনে চক্রান্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্বপন মজুমদার তাদের মধ্যে একজন।’’
স্বপন দাবি করছেন, ‘‘ওই ঘটনার ন’মাসের মধ্যে উচ্চ আদালত আমাকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল।’’ তা শুনে বারাসতের বিদায়ী সাংসদ, তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কটাক্ষ, ‘‘২০১৭ সালে অসমে কি তৃণমূলের সরকার ছিল? ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের মনোনয়নপত্রে স্বপন যা নিজেই উল্লেখ করেছেন, তা কি তৃণমূল লিখিয়ে দিয়েছিল?’’