—প্রতীকী চিত্র।
ভোট শেষ হলেও গোলমাল থামছে না কোচবিহারে। এ বার এক বিজেপি নেতাকে মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার ডাউয়াগুড়িতে। অভিযোগ, ডাউয়াগুড়ির অঞ্চল আহ্বায়ক সুজিত দাসকে বাজারের কাছে আটক করে ব্যাপক মারধর করা হয়। লোহার রড দিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়েছে। সেই সময়ে বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই এলাকায় এক বিজেপি নেতার দোকান ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। বিজেপির দাবি, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা’ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই ঘটনায় গভীর রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কোচবিহারে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “রাতে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিজেপির নাটাবাড়ি বিধানসভার আহ্বায়ক শুভাশিস চৌধুরী অভিযোগ করেন, নির্বাচনের দিন থেকেই ডাউয়াগুড়িতে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা শুরু করে রাজ্যের শাসক দল। ওই দিন বিজেপির বেশ কিছু ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করেন সুজিত দাসের মতো বিজেপির একাধিক নেতা ও কর্মী। মনে করা হচ্ছে, ওই কারণেই পরে সুজিতের উপরে হামলা হয়। ভোটের দিন বিকেলে বিজেপির কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ডাউয়াগুড়ি যান। তিনিও ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। নিশীথ সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পরে ফের গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। শুভাশিসের দাবি, “ওই এলাকায় তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের কেউ তাদের অবৈধ কাজকর্মের প্রতিবাদ করছে কর্মীদের উপরে হামলা করছে। সুজিত দাসের আঘাত খুব গুরুতর। পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা দাবি, ভোটের দিন থেকে বিজেপি ওই এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। তৃণমূল নেতাদের নাম ধরে ধরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে শুরু করে। তা নিয়ে তৃণমূল প্রতিবাদ করাতেই মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “একাধিক জায়গায় আমাদের কর্মীদের উপরেও হামলা হয়েছে। ডাউয়াগুড়িতেও একটি গোলমালের ঘটনা শুনেছি। কিন্তু সেখানে আমাদের কোনও কর্মী-সমর্থক জড়িত নয় বলেই জানি। যে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, আইন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”