লকেট চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, ‘‘দুষ্কৃতীদের তোল্লাই দিচ্ছেন উনি।’’ যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন হুগলির বিদায়ী সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের লালন-পালন তো তৃণমূলেরই ঘরে।’’
গত ২৯ মার্চ বিজেপি কর্মীদের উপর মারধর এবং অত্যাচারের প্রতিবাদে এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখানে নেতৃত্বে ছিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘ওই বিক্ষোভে ব্যান্ডেলের দুষ্কৃতী সঞ্জয় পাশোয়ান ওরফে লালার মা যশোয়া দেবী ছিলেন।’’ অসিত এই মর্মে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারকে ইমেল মারফত অভিযোগ করেছেন বলে জানান। ওই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে যে দুষ্কৃতীরা ব্যান্ডেল শাসন করেছিল, আমি বিধায়ক হওয়ার পর তাদের জনবিচ্ছিন্ন করি। ব্যবসায়ীরা এখন শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা করছেন এলাকায়। একটা সময় ওই দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন ওই দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য লকেট চট্টোপাধ্যায় ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে ডেপুটেশন দিচ্ছেন।’’
তৃণমূলের অভিযোগ, ব্যান্ডেলের সব থেকে বড় দুষ্কৃতী লালা। বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য ওই রকম গুন্ডা-মস্তানদের ‘আমদানি’ করছে। অসিতের অভিযোগ, যে দিন ফাঁড়িতে বিক্ষোভ হয়েছে, তার দু’দিনের মধ্যেই এক জন ব্যবসায়ী আক্রান্ত হয়েছেন। অপহরণের চেষ্টা করা হয় তাঁকে। বিজেপি প্রার্থীর গুন্ডা মস্তানদের আশ্রয় দেওয়ার ‘প্রবণতা’ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘আমরা এই কারণে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি, যাতে এমন প্রার্থীকে ভোটে প্রতীকই-না দেওয়া হয়।’’
সম্প্রতি বলাগড়ের সভা থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ‘দুষ্কৃতি-যোগ’ নিয়ে সরব হন লকেট। দুষ্কৃতীরা তৃণমূলকে ‘ফান্ডিং’ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে লকেট বলেন, ‘‘ওগুলো ওদের কাজ। আমাদের নয়।’’