Satabdi Roy

‘এত কাজ করলে দল কেন প্রচার করছে না?’ ভোটারের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী

বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়ি এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। সেখানে এক ভোটার বিদায়ী সাংসদকে কিছু প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২২
Share:

প্রচারে গিয়ে মেজাজ হারালেন শতাব্দী রায়। —নিজস্ব চিত্র।

সাংসদ হিসাবে যদি কাজ করে থাকেন, তবে তাঁর দলকে কেন প্রচার করতে দেখা যায় না? ভোটের প্রচারে গিয়ে এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল বীরভূমের তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়কে। বুধবার দুবরাজপুর এলাকায় প্রচার করতে গিয়ে মেজাজ খুইয়ে এক ভোটারের উদ্দেশে ‘ইডিয়ট-ইডিয়ট’ বলে চিৎকার করতে শোনা গেল তাঁকে।

Advertisement

বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামে খগেশ্বরনাথ শিবমন্দিরে পুজো দেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। পুজো দেওয়ার পর মন্দির চত্বরে এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তিনি। ওই ব্যক্তি সাংসদকে প্রশ্ন করায় শতাব্দী তাঁকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, ‘‘ইডিয়ট! ইডিয়ট! ইডিয়টের মতো কথা বলছ!’’ তখন ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আর কিছু বলার নেই।’’ তার পর শতাব্দী বেরিয়ে যান সেখান থেকে।

অন্য দিকে, যে ব্যক্তিকে ভর্ৎসনা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী, তিনি পরে বলেন, ‘‘আমি শুধু বলছিলাম, আপনি যে কাজগুলো করেছেন, তার কোনও প্রচার করেনি কেন তৃণমূল? কিন্তু উনি এটা শুনেই রেগে গেলেন। আসল কথাটা শুনলেনই না। আমি মন্দিরের জন্য কিছু বলতে চাইছিলাম।’’ অন্য দিকে, এই ঘটনার পর গাড়িতে উঠে শতাব্দীকে অন্য মেজাজে দেখা যায়। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘উনি বলছেন, জলের ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দিয়েছিলেন, তা রাতের অন্ধকারেই নিয়ে গিয়েছে আবার। এটা তো হতে পারে না। এই সব টাকা তো ব্যাঙ্ক থেকে ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার হয়। যাই হোক, আমি ওঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে নেব।’’ আর ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘উনি দিদির মতো। বয়স্ক মানুষ। বকেছেন, আর কী করা যাবে।’’

Advertisement

এর আগেও একাধিক বার প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে শতাব্দীকে। যদিও প্রতি বার শতাব্দী এবং তাঁর দল তৃণমূল থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন শতাব্দী। কিছু মানুষ তাঁর গাড়ি থামান। তাঁর কাছে পানীয় জল ও রাস্তার দাবিতে কার্যত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। গাড়িতে বসেই গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা শোনেন শতাব্দী। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বলা হলেও তার কোনও সুরাহা হয়নি।

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শতাব্দী আগামিদিনে সব কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি এ-ও দাবি করেন, কোনও বিক্ষোভ হয়নি তাঁকে ঘিরে। মানুষ আবদার করেছেন তাঁর কাছে। অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের কয়েক জন দাবি করেন, শতাব্দীর নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের হুমকি দিয়েছেন এবং বলেছেন, তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে ঠিক করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement