বিপ্লব মিত্র, তৃণমূল প্রার্থী, বালুরঘাট। — নিজস্ব চিত্র।
বালুরঘাট আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হয়েছে গত রবিবার। বুধবার সাতসকালে নিজের কেন্দ্রে চলে এলেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর লড়াই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। স্টেশনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বিপ্লবকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূলের পুরনো দিনের কর্মীদের মধ্যে অন্যতম বিপ্লব। বর্ষীয়ান এই নেতা দীর্ঘ দিন জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু মাস দুয়েকের মধ্যে আবার ফিরে আসেন তৃণমূলে। বিপ্লবকে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থেকে বিধানসভার টিকিট দেয় তৃণমূল। ২০২১-এর নীলবাড়ির লড়াইয়ে হরিরামপুর থেকে জেতেন বিপ্লব। তার পর তাঁকে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভাতেও জায়গা দেন মমতা। এ হেন প্রবীণ নেতাই এ বার বালুরঘাটের প্রার্থী। বিপ্লবের বাড়ি গঙ্গারামপুরে। যে এলাকা বালুরঘাট লোকসভার অন্তর্গত।
বুধবার সকালে কলকাতা থেকে গঙ্গারামপুরে নিজের বাড়িতে ফেরেন বিপ্লব। তাঁকে স্বাগত জানাতে স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বিপ্লব স্টেশনে নামতেই শুরু হয়ে যায় ঢাক, ঢোল পেটানো। সুরে সুরে বেজে ওঠে ব্যান্ডপার্টি। বয়স এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে বিপ্লবকে অনেকেই ‘জেলার অভিভাবক’ হিসাবে মনে করেন। প্রবীণ নেতার সেই পরিচয় উঠে আসছে দেওয়ালেও। স্টেশনে নামার পর কার্যত শোভাযাত্রা করে প্রার্থীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। মাঝে কর্মীদের সঙ্গে একটি দেওয়াল লিখতেও দেখা যায় বিপ্লবকে।
বিপ্লব বলেন, ‘‘আজ যা দেখলেন তা পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। ট্রেন থেকে নেমে দেখি হাজার হাজার লোক। এই দৃশ্য আপনারাও দেখেছেন। জেলার মানুষ চাইছেন আমাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের মন্ত্র মাথায় নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছি। জেলার সার্বিক উন্নয়ন চাই। তাই বালুরঘাটের মানুষ আমাকেই এ বার দিল্লি পাঠাবেন। যে কোনও লড়াই কঠিন। কিন্তু মানুষের স্বার্থে এমন লড়াই আমৃত্যু লড়তে আমি দলনেত্রীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’