মতুয়াদের নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। —ফাইল চিত্র।
সপ্তাহ খানেক হয়নি নদিয়া দক্ষিণে বিজেপির অন্যতম মতুয়া মুখ বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে নিজেদের দলে এনেছে তৃণমূল। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে রানাঘাট লোকসভার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়েছে। পাশাপাশি সেই মঞ্চ থেকেই মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদিয়া দক্ষিণের এক বড় অংশে যেমন মতুয়া ভোট রয়েছে পাশাপাশি তাহেরপুর, কুপার্স, ফুলিয়ার মতো বহু জায়গা উদ্বাস্ত অধ্যুষিত। তৃণমূল সূত্রে খবর, মতুয়া গড়ে পরপর বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর এ বারের লোকসভা ভোট নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে শক্ত চ্যালেঞ্জ।
রানাঘাট লোকসভাকে তৃণমূল যে পাখির চোখ করেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল শান্তিপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তায়। সে দিন রানাঘাট লোকসভায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। রবিবার জনগর্জন সভা থেকে মতুয়াদের পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সভা থেকে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘‘আধার কার্ড কেড়ে নিয়েছিল আপনাদের। তারপর আমি গর্জে উঠলাম। গর্জন শুনে থমকে গেল। ইলেকশনের আগে বলবে ক্যা দেব। ক্যা দেবে না ওটা ব্যা দেবে। তার মানে ব্যাক আউট করবে। আর ইলেকশনের পরে আপনাদের সব কেড়ে নেওয়া হবে। আর ও পার বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু আমরা আপনাদের শেল্টার দেব। আমরা আপনাদের কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে দেব না। এনআরসি করতে দেব না। চিৎকার করে বলুন, এনআরসি হবে না। আধার কার্ড বাতিল চলবে না।’’
মতুয়া বা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা রানাঘাটের সংসদ তথা রানাঘাটে বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলছেন, ‘‘উনি জানেন না কী বলছেন। উনি তো সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন। কেন্দ্রীয় সরকার যদি একটি আইন লাগু করে সেটা সকলকেই মানতে হবে। যাঁদের নথিপত্র ঠিক নেই, যাঁরা বেআইনি ভাবে এ দেশে এসেছেন, সমস্যা শুধু তাঁদেরই হতে পারে।’’