Lok Sabha Election 2024

ভোটের জন্য শহরে বন্ধ কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ!

লালবাজার সূত্রের খবর, এ বারের লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে, গত ৪ মার্চ থেকেই শহরে চলে এসেছিল দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দু’দফায় ওই বাহিনী আসে শহরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৭:৫০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোটের তিন সপ্তাহ আগে শহরে বন্ধ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। কারণ, শহরে রুট মার্চের জন্য থাকা এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মঙ্গলবার তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের চতুর্থ দফার ভোটের জন্য পূর্ব বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে। চতুর্থ দফার ভোট রয়েছে ১৩ এপ্রিল। তবে সূত্রের খবর, ওই দফার ভোট মিটলে ফের কলকাতায় ফিরে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে তত দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ বন্ধ থাকছে কলকাতা পুলিশ এলাকার অলিগলিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরে এলে সাধারণ ভোটারদের মনোবল বাড়াতে ফের রুট মার্চ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, এ বারের লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে, গত ৪ মার্চ থেকেই শহরে চলে এসেছিল দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দু’দফায় ওই বাহিনী আসে শহরে। কলকাতা পুলিশের দশটি ডিভিশনে একটি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি রুট মার্চের জন্য মোতায়েন করা হয়। সেই মতো প্রথম দফা ভোটের আগে পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন টহল দিচ্ছিল ওই বাহিনী।

প্রথম দফার ভোটের ঠিক আগে, গত ১৬ এপ্রিল কলকাতা পুলিশ এলাকার জন্য এক কোম্পানি রেখে ভোটের বিভিন্ন দফার জন্য বাকি কোম্পানিগুলিকে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। ফলে কলকাতা পুলিশ এলাকায় থেকে যাওয়া এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েই শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিন সপ্তাহ ধরে রুট মার্চ করানো হচ্ছিল। সোমবার অবশিষ্ট সেই এক কোম্পানিকে তুলে নেওয়ায় সেই রুট মার্চও বন্ধ হল।

Advertisement

তবে, কলকাতা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আনন্দপুর, ফুলবাগানের মতো এলাকা ছাড়া শহরে বড় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সেই এলাকার ঘটনাও দ্রুত সামলে নেওয়া গিয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর না থাকাকালীন কিছু ঘটলে তা কলকাতা পুলিশের নিজস্ব বাহিনী সামলে দিতে পারবে বলেই ওই সূত্রের দাবি। ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে ভোটের জন্য নাকা-তল্লাশি শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে, নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটারদের ভয় কাটাতে কলকাতা-সহ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো সাধারণ ভোটারদের মনোবল বাড়াতে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে শহর জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করেছে। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, মার্চের গোড়ায় ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাস্তায় দেখা গেলেও প্রথম দফার ভোটের ঠিক আগেই তারা কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিল। বাকি যেটুকু ছিল, তা-ও এ বার বন্ধ হয়ে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement