—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের আগে আজ শাসক দল ব্রিগেড সমাবেশ করছে। কিন্তু হুগলির আরামবাগ মহকুমায় এ বারই প্রথম তেমন কোনও উন্মাদনা দেখা গেল না তৃণমূলের একটা বড় অংশের মধ্যে। এর আগে কলকাতায় যে কোনও বড় দলীয় সমাবেশের দিন দুয়েক আগে থেকে আরামবাগে বিভিন্ন রুটের বাস তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়ত। কিন্তু এ বার ‘জনগর্জন’ সভার জন্য বাস নেওয়া শুরু হয় শনিবার বিকেল থেকে। তা-ও বাস এবং লোকের সংখ্যা অনেক কম বলে দাবি দলের ব্লক এবং অঞ্চল নেতাদের। কেন কম?
সামনে আসছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা। অনেকে আবার মনে করছেন, এখানে বিজেপি সংগঠন অনেক মজবুত করে ফেলেছে। অতীতে দলনেত্রীর সভায় বহু লোক নিয়ে গিয়েছেন গোঘাট ২ ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি সাহাবুদ্দিন খান। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘গাছের গোড়া কেটে ডগায় জল দিলে যা হয়, তাই হচ্ছে। আমরা, যাঁরা আবেগ দিয়ে দল করেছি, তাঁদের ‘আইপ্যাক’ নামে এক ঘুণপোকার মাধ্যমে সব রকম দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াতেই এই হাল। সভায় লোক নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই।” গোঘাট ১ ব্লকের প্রাক্তন দলীয় সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, প্রবীণ মনোরঞ্জন পাল বলেন, “সংগঠনের কাজে পুরনোদের কাউকে ডাকেননি জেলার নেতারা। তবু, দিদির ডাকা সভায় আমরা অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে যাব।”
শুধু আরামবাগ মহকুমার ৬টি ব্লক থেকেই ৬০ হাজারের বেশি লোক যেত। এ বার সাংগঠনিক জেলার ১৮৮০টি বুথের জন্য বাস থাকছে সাড়ে ৩০০-রও কম। বিভিন্ন রুটের বাসমালিকেরা জানিয়েছেন, আরামবাগ মহকুমা এবং তারকেশ্বর মিলিয়ে মোট ৩২৬টি বাসের তালিকা এসেছে শাসকদলের তরফে।
তৃণমূলের রামেন্দু সিংহরায়ের দাবি, ‘‘এখন আলু তোলার সময়। তাই কিছু লোক কম।’’ সিপিএমের পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের টিপ্পনী, “১০০ দিনের টাকা না দিলে ওই লোকও হত না।” বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘ব্রিগেড ভরাতে ওরা ১০০ দিনের শ্রমিকও বিশেষ পায়নি। কারণ, যাঁদের টাকা দিয়েছে, তাঁরা অধিকাংশই শ্রমিক নন। ফলে, সভায় যেতে
আগ্রহী নন।”