প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সংসদে পেশ করা নরেন্দ্র মোদী সরকারের শ্বেতপত্রে উঠে এল সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গও। যাতে সরাসরি না হলেও ঘুরিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে। অন্য দিকে পাল্টা আক্রমণে তৃণমূলের বক্তব্য, সারদা কেলেঙ্কারি থেকে ফায়দা পেয়েছেন বিজেপি নেতারাও। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হয়নি।
শ্বেতপত্রে ইউপিএ আমলে হওয়া কমনওয়েলথ দুর্নীতি, টুজি কেলেঙ্কারি, স্পেকট্রাম দুর্নীতির সঙ্গেই স্থান পেয়েছে সারদা কেলেঙ্কারির বিষয়টি। যে সময়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সারদা কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে আসে, সে সময়ে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ‘সারদা চিট ফান্ড হল একটি পঞ্জি স্কিম, যেখানে ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগকারীকে বিপুল হারে লগ্নি করা অর্থ ফেরৎ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ওই সংস্থা যখন ধসে পড়ে, তখন দুর্নীতির বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। যার ফলে লক্ষাধিক বিনিয়োগকারী কার্যত পথে বসতে বাধ্য হন।’
আজ শ্বেতপত্র নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে পাল্টা মুখ খোলেন তৃণমূলের সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘‘শ্বেতপত্রে সারদা কেলেঙ্কারির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই দুর্নীতি থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ সিপিএমের অভিযোগ, ২০১৪ সালের মে মাসে সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার দিন কয়েক পরেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকে আজ অবধি সারদা-কাণ্ডের তদন্ত এক পা-ও এগোয়নি। এ থেকেই স্পষ্ট, বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বোঝাপড়া কতটা গভীর!