পুলওয়ামায় ভোটারদের লাইন। ছবি: পিটিআই।
পুলওয়ামা। ২০১৯ সালে এখানেই জঙ্গি হামলায় সিআরপি জওয়ানদের মৃত্যুর পরে বালাকোট অভিযান ও পাকিস্তানের পাল্টা হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল পরিবেশ। যার ফায়দা বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তুলেছিল বলে দাবি বিরোধীদের। কিন্তু ঐতিহাসিক ভাবে খুবই কম ভোট পড়ে পুলওয়ামা তথা দক্ষিণ কাশ্মীরে। কিন্তু আজ লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফায় শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে বদলে গেল চিত্রটা। এ দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলওয়ামায় ভোট পড়েছে ৩৮.২ শতাংশ। গত বার ভোট পড়েছিল ২৩ শতাংশ। ফলে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে মানছেন সব দলের নেতারা।
আজ সকাল থেকেই পুলওয়ামার বিভিন্ন বুথে ভিড় করেন ভোটারেরা। লিটার এলাকার একটি বুথে এক দল ভোটার এক বাক্যে জানালেন, ‘‘অনেক হিংসা দেখেছি। এখন শান্তি ও উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার সময়। আমরা ভোট দিয়ে কেবল নেতা বেছে নিচ্ছি না। বোঝাতে চাইছি যে আমরা উন্নত ভবিষ্যৎ চাই।’’
পুলওয়ামার সরকারি স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ মুজতবা বলেন, ‘‘পুলওয়ামায় ভোটদানের হার বুঝিয়ে দিচ্ছে কাশ্মীরি ভোটারেরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চান। ভবিষ্যতের ক্ষত ভুলে পুলওয়ামার এই অংশগ্রহণ স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে পদক্ষেপ।’’
এ বারেই প্রথম ভোট দিলেন মহম্মদ ইকবাল। তাঁর কথায়, ‘‘কাশ্মীরের পরিচয়, ভূমি রক্ষা ও বেকারির মোকাবিলায় উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দেওয়া প্রয়োজন।’’ আর এক যুবক মুদাসির রহমানের কথায়, ‘‘আমাদের ভোট যে কোনও অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এতেই আমাদের মতের প্রতিফলন ঘটবে।’’
গোটা শ্রীনগরেই ভোট হয়েছে শান্তিতে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোটা কেন্দ্রে ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ১৯৮৯ সালের পরে ভোটদানের এই হার দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।