Saif Ali Khan attack case

সইফ-কাণ্ডে শরিফুলের আঙুলের ছাপ মিলছে না? গুজব বলল মুম্বই পুলিশ, অপেক্ষা অন্তিম রিপোর্টের

পুলিশের জালে শরিফুল এলেও এখনও রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু ধোঁয়াশা। সেই রাতে সইফের বাড়িতে প্রবেশ করা ব্যক্তি কি আদৌ শরিফুল? এমন প্রশ্নও উঠছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৮
Share:

সইফ-কাণ্ডে শরিফুলের আঙুলের ছাপের অপেক্ষায় মুম্বই পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য অব্যাহত। ১৬ জানুয়ারির ঘটনায় মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করে শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ নামে এক ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের বাসিন্দা। অভিযোগ, অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি সেই রাতে হানা দিয়েছিলেন সইফের বাড়িতে। বাধা পেয়ে সইফের উপর চড়াও হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের জালে শরিফুল এলেও এখনও রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু ধোঁয়াশা। সেই রাতে সইফের বাড়িতে প্রবেশ করা ব্যক্তি কি আদৌ শরিফুল? এমন প্রশ্নও উঠছে। বাংলাদেশ থেকে শরিফুলের বাবা দাবি করেছেন, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তি তাঁর ছেলে নন। রবিবার সকালেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য ছড়ায়। সইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে নাকি মিল নেই শরিফুলের আঙুলের ছাপের। যদিও প্রাথমিক পুলিশি তদন্ত নিশ্চিত করেছে সইফের বাড়িতে ঢুকে পড়া ব্যক্তি বছর তিরিশের শরিফুলই। তাই মুম্বই পুলিশের দাবি, আঙুলের ছাপ না মেলার এই খবর নেহাতই গুজব।

পুলিশ আধিকারিক দিক্ষীত গেদাম জানিয়েছেন, আঙুলের ছাপ না মেলার খবর গুজব মাত্র। তাঁরা এখনও আঙুলের ছাপের অন্তিম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, আঙুলের ছাপ সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা এখনও মুম্বই পুলিশেরই হাতে, কারণ ফরেন্সিক পরীক্ষার দায়িত্ব প্রথম থেকেই তাঁর হাতেই ছিল। এর সঙ্গে মহারাষ্ট্র সিআইডি-র কোনও যোগ নেই। আঙুলের ছাপের অন্তিম রিপোর্ট ও মুখ সনাক্তকরণ পরীক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি করা হয়েছে শরিফুলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ।

Advertisement

রবিবার সকালে খবর ছড়ায়, সইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা ১৯টি নমুনার একটির সঙ্গেও নাকি মিল নেই শরিফুলের আঙুলের ছাপের। জানা গিয়েছে, ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদের ১০টি আঙুলের ছাপ পাঠানো হয়েছিল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। মহারাষ্ট্র সিআইডি-র ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে জানা যাচ্ছে, সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটিও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। কিন্তু মুম্বই পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে, ফরেন্সিক পরীক্ষার যাবতীয় কাজ এখনও তাদেরই আওতায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement