—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম (এসএসটি)-র সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, কিছু দিনের মধ্যেই ওই অতিরিক্ত দল কাজ শুরু করবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, কলকাতা পুলিশ এলাকার আওতাধীন ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে চারটি করে এসএসটি থাকবে। সেই হিসাবে গত ৭ মে থেকে ওই দলগুলি নির্দিষ্ট এলাকায় কাজও শুরু করে। এর পরেই পুলিশের তরফে প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্র পিছু একটি করে অতিরিক্ত এসএসটি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। সূত্রের খবর, কমিশন সেই প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে। এর ফলে কলকাতা পুলিশ এলাকায় এসএসটি-র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৯৫।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এসএসটি-র দলে থাকবেন স্থানীয় থানার এক জন অফিসার। সঙ্গে থাকবেন তিন বা চার জন পুলিশকর্মী। এ ছাড়া, সিভিল সেক্টর থেকে থাকবেন এক জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং এক জন আলোকচিত্রী। নজরদারির পাশাপাশি ওই দলটির কাজ হবে যে কোনও গাড়িতে তল্লাশি চালানো। ২৪ ঘণ্টাই যাতে ওই দল নির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করে, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ করা হবে। কলকাতা পুলিশ এলাকার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ ছাড়াও যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কিছুটা অংশ রয়েছে তাদের অধীনে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা, ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটারদের বাড়িতে আগামী ২০ এবং ২১ মে কমিশনের দল যাবে। আবার যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে এমন ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ করার কথা ২৩ এবং ২৪ মে। নির্বাচন কমিশনের ওই দলের সঙ্গে থাকার কথা হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের। মঙ্গলবার থেকেই ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করেছে শহরে। পুলিশ সূত্রের খবর, একই সঙ্গে শহরে পৌঁছেছেন তিন জন করে পুলিশ এবং সাধারণ পর্যবেক্ষক। এ ছাড়াও আছেন পাঁচ জন ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক। যাঁরা মঙ্গলবার থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন।