প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শুরু হয়েছিল ২৬৩ কোম্পানি দিয়ে। তৃতীয় দফাতেই ৪০০ পেরোতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি-সংখ্যা।
মুখ্য নির্বাচনী কার্যালয় (সিইও) সূত্রের খবর, প্রথম দুই দফার তুলনায় সংবেদনশীলতা তুলনায় কিছুটা বেশি তৃতীয় দফায়। ফলে প্রতিটি থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। সূত্রের দাবি, এ বার থেকে জেলা কন্ট্রোল রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একজন করে প্রতিনিধি রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে সব মিলিয়ে মোতায়েন হয় ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফায় সেই সংখ্যা ৩৬ কোম্পানি বৃদ্ধি পেয়ে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে সম্মিলিত ভাবে মোতায়েন হতে চলেছে ২৯৯ কোম্পানি। তৃতীয় দফায় তা পৌঁছবে ৪০০ কোম্পানিতে।
তবে ৭ মে ওই দফায় একটি আসন বৃদ্ধি পেয়ে মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গীপুর, মোট চারটি লোকসভা আসনে ভোট হবে। ভোট বিশেষজ্ঞদের অনেকের বক্তব্য, ওই দফায় মুর্শিদাবাদের বড় অংশে ভোট থাকায় সেই এলাকার নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় কোচবিহার এবং দ্বিতীয়তে রায়গঞ্জ, বিশেষ করে সেই কেন্দ্রের ইসলামপুরের উপর বাড়তি নজর রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রামনবমীতে বেশ গোলমাল হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। তার জেরে দুই থানার আধিকারিককে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুর্শিদাবাদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশও করেছেন। সূত্রের দাবি, এত দিন পর্যন্ত জেলা কন্ট্রোল রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রতিনিধি থাকতেন না। শুধুমাত্র রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করতেন একজন নোডাল অফিসার। এ বার কন্ট্রোল রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন। প্রতিবার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন এবং তার ব্যবহার নিয়ে যে প্রশ্ন ওঠে, তা কাটাতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
সিইও কার্যালয় জানিয়েছে, পরের দফাগুলিতেও ভোট শেষের পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে এক কোম্পানি করে বাহিনী থাকবে স্ট্রংরুম পাহারার জন্য। আরও এক কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন থাকবে ভোটের পরে আইনশৃঙ্খলা মোকাবিলায়।