Tapas Roy

সংখ্যালঘু ভোট ভাঙছে তৃণমূলের, দাবি তাপসের

তাপসের দাবি, তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে’ টিকিট পাওয়া নিয়ে আশঙ্কার কারণে সুদীপ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে বিজেপি তাঁকে নেয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। —ফাইল চিত্র

কলকাতা পুরসভার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু নেতা-কর্মী সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে কলকাতা উত্তর লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় শনিবার দাবি করলেন, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ভাঙছে। তাই কলকাতা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের ফলে তৃতীয় হবেন বলেও তাপসের দাবি। যদিও, তৃণমূল এই দাবিতে আমল দেয়নি। মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে এ দিন তাপস দাবি করেছেন, “উনি (সুদীপ) ভেবেছিলেন, সংখ্যালঘু ভোটের উপরে ভর করে জিতবেন। সংখ্যালঘু ভোটই ভাঙছে। যে ৬২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ওঁদের এত গর্ব ছিল, সেখানেই সংখ্যালঘুরা কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। তা হলে আর কোথায় ভোট পাবেন? উনি তৃতীয় হবেন।”

Advertisement

তাপসের এ-ও দাবি, তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে’ টিকিট পাওয়া নিয়ে আশঙ্কার কারণে সুদীপ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে বিজেপি তাঁকে নেয়নি। সুদীপ ‘দ্বৈত নাগরিকের’ মতো দু’দিকে যোগাযোগ রেখে চলেন বলে দাবি করে, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশেও তাপসের বার্তা, “যাঁরা দলের প্রতি বিশ্বস্ত তাঁদের বলব, আপনারা এই প্রার্থীকে ভোট দেবেন কি না ভাবুন।” যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “ওখানে (৬২ নম্বর ওয়ার্ডে) আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। কেউ গেলেও ভোটের ফলে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।” তাঁর সংযোজন, “প্রার্থীর গুণাবলি নয়, তৃণমূল কর্মীরা ভোট দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের উপরেই ভরসা রাখবেন।”

বিজেপি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে, তাপসের সমর্থনে আগামী ২৮ বা ২৯ মে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি পর্যন্ত রোড-শো করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষ দফার প্রচারেও পাঁচটি কেন্দ্রে কর্মসূচি করতে পারেন মোদী। এ দিকে, সুদীপের হয়ে প্রচারে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন তাপসের বক্তব্য, “মমতাকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি উত্তর কলকাতাকে কী দিয়েছেন? তৃণমূল আমলের তিন জন মেয়র, তিন জন চেয়ারম্যান, সবাই দক্ষিণ কলকাতার। অর্ধেক ডজন মন্ত্রী দক্ষিণ কলকাতার।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement