—প্রতীকী ছবি।
আসন্ন লোকসভা ভোটের নজরদারিতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারের পথে হাঁটতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের দাবি, যে সব বুথে ভোট-প্রক্রিয়ার নজরদারিতে ‘ওয়েবকাস্ট’ করা হবে, সেখানে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে। তাতে ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও গরমিল থাকলে এআই তা চিহ্নিত করে সঙ্কেত পাঠাবে। তার ভিত্তিতে কমিশনের পদক্ষেপ করা সহজ এবং দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মনে করা হচ্ছে, জেলা প্রশাসনের রিপোর্টের উপরেও চোখ বুজে ভরসা করতে চাইছেন না কমিশনের কর্তারা।
কমিশন সূত্র জানাচ্ছে, মোটের ৫০% বা স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা—যেটা বেশি হবে, ততগুলোতে ওয়েবকাস্ট করার কথা। সেখানে যে ভিডিয়ো বা শব্দ রেকর্ড হবে, তা যাচাই করে সঙ্কেত এআই প্রযুক্তি। রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৫৩টি। তবে তার মধ্যে কতগুলি বুথ স্পর্শকাতর বা সংবেদনশীল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। কারণ, ভোট ঘোষণা এবং কমিশনের যাবতীয় বিধি কার্যকর হওয়ার চূড়ান্ত সমীক্ষা শেষে তা বোঝা যাবে।
এ দিন আসন্ন রাজ্যসভা ভোট নিয়েও বিধানসভার আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ় আফতাব। ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ভোট হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, নিয়মমাফিক ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। সে দিন থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মনোনয়ন। এ দিন ভোট প্রক্রিয়া-সহ গোটা বিষয়ে বিধানসভার সচিব-সহ আধিকারিকদের ‘কী করণীয়’ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সিইও।
এ দিনই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের সাতটি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইও। কমিশনের বিধি অনুযায়ী, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পানীয় জল, শৌচাগার, বসার জায়গা, ছাউনি, ন্যূনতম চিকিৎসা ব্যবস্থা, বয়স্ক ও বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য র্যাম্প ইত্যাদি পরিকাঠামো তৈরি করতে হয়। এখনও অনেকগুলি জায়গায় সেই কাজ শেষ হওয়া বাকি আছে। সূত্রের দাবি, এ দিনের বৈঠকে এই মাসের মধ্যে বকেয়া সব কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।