জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। —ফাইল চিত্র ।
তৃণমূল প্রার্থীর দু’জন স্ত্রী। কিন্তু হলফনামায় তা গোপন করা হয়েছে— এমনই অভিযোগে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার প্রার্থিপদ খারিজের দাবি করল বিজেপি। বুধবার প্রচারের শেষ দিনে বিজেপির এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে কোচবিহারে। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর অভিযোগ, তৃণমূলের কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থীর দু’জন স্ত্রী। এখন যাঁকে সব সময় দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীর পাশে, তাঁরই নাম নেই হলফনামায়। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দিয়েছেন বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক অজয় রায়। তিনি জগদীশের প্রার্থিপদ খারিজের দাবি করেছেন।
জগদীশের বক্তব্য, ‘‘হলফনামায় যাঁর কথা লিখেছি, তিনি আমার বৈধ স্ত্রী। নাম শুকতারা বর্মা বসুনিয়া। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, দ্বিতীয় জনের অধিকার থাকে না। বিবাহ হলেও নাম আনা যায় না। সে জন্যেই আমি তা প্রকাশ করিনি।” তাঁর পাল্টা তোপ, ‘‘বিজেপি বুঝে গিয়েছে, ভোটে তাদের ফল খারাপ হবে। সে জন্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। বিজেপি বিধায়ক প্রমাণ করুন, হলফনামা মিথ্যা।’’
জগদীশের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নাম উঠে এসেছে সঙ্গীতা রায় বসুনিয়ার। তিনি তৃণমূলের নেত্রী এবং সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী। তিনি বলেন, “এ অভিযোগে গুরুত্ব দিই না। এটুকু বলতে পারি, জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া তথ্য গোপন করেননি।”
বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু এবং জেলা সম্পাদক অজয় রায়কে নিয়ে এ দিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মিহির ওই অভিযোগ তোলেন। বলেন, “তৃণমূলের প্ৰার্থী যে অঙ্গীকারপত্র জমা দিয়েছেন, তাতে আইনগত মিথ্যাচার পাওয়া গিয়েছে। দলের নেতা অজয় রায় নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সে হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া জরুরি।” মিহিরের বক্তব্য, ‘‘জগদীশ হাইস্কুলের শিক্ষক। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, দু’টি বিয়ে করতে পারেন না।”