বয়ারমারিতে সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের একাংশ এবং বিজেপি কর্মীদের। ছবি: সারমিন বেগম।
শেষ দফার ভোটের দিন উত্তপ্ত বসিরহাট লোকসভা আসনের সন্দেশখালি। অভিযোগ, সেখানে বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ দু’জন। এক জন বিজেপি কর্মীও আহত হয়েছেন। সন্দেশখালির বয়ারমারিতে বাড়ছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। তাদের কর্মীকে মারধরের অভিযোগে বাসন্তী সড়কে পথ অবরোধ করেছে।
অভিযোগ, সন্দেশখালির বয়ারমারিতে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন তৃণমূলের দু’জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নলিনী খাটুয়া। সংঘর্ষে এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর নাম কিঙ্কর জানা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথের সামনে জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে কটূক্তি করছিলেন কয়েক জন। তৃণমূল অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। তৃণমূল কর্মীরাও কটূক্তি করেন বলে পাল্টা অভিযোগ বিজেপির। তার জেরে বচসা, হাতাহাতি। আহতদের হাটগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে দলীয় কর্মীদের দেখতে যান সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। এর পরেই বয়ারমারিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ। রাজবাড়ি এলাকায় স্থানীয় এক মহিলা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজবাড়ি ফাঁড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। অন্য দিকে, বয়ারমারিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরাও। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আরও দাবি করেছেন, কয়েক জনকে পুলিশ এসে তুলে নিয়ে গিয়েছে। তার প্রতিবাদেই অবরোধ করেন তাঁরা।
পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেয়। এর পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা বয়ারমারিতে বাসন্তী সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাস্তায় গাছের ডাল, টায়ার ফেলে অবরোধ করা হয়। পুলিশের গাড়ি যেতে দেওয়া হলেও বাকি গাড়ি আটকানো হয়েছে। বিজেপি কর্মী শঙ্কর দাস দাবি করে বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। যদিও গুলি তাঁর লাগেনি। তৃণমূলের লোক এ সব করেছে। সেই ঘটনার সুরাহা হয়নি বলেই বিক্ষোভ।’’ বিজেপি কর্মীদের আরও দাবি, ‘বহিরাগত’ এনে তৃণমূল এ সব করিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা।