ভোটের লাইনে তারকারা। সংগৃহীত চিত্র।
চলতি বছরের ১ জুন সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচন। এ দিন কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় সকাল থেকেই বুথে বুথে ভিড়। আমজনতার সঙ্গে তারকা প্রার্থী এবং বিনোদন দুনিয়ার ব্যক্তিত্বরা এ দিন এক পঙ্ক্তিতে। ‘সকাল সকাল ভোট দিন’, এই আপ্তবাক্য মেনে নির্দিষ্ট বুথে দেখা গিয়েছে তাঁদের। তালিকায় মিঠুন চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সায়নী ঘোষ, সস্ত্রীক রাজ চক্রবর্তী এবং আরও অনেকেই।
রোদ, ভিড় দুইই এড়াতে সকাল সকাল ভোটের লাইনে ‘মহাগুরু’। এ দিন সকাল সাতটায় বেলগাছিয়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছে যান তিনি। ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন মিঠুন। নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলেননি। সংবাদমাধ্যম তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে সাফ জানান, দল ৩০ মে পর্যন্ত যা দায়িত্ব দিয়েছিল তিনি তা নিখুঁত ভাবে পালন করেছেন। এবার তিনি আগের মতো ছবিতে কাজ করবেন। যোগ করেন, তাঁকে তো পেট চালাতে হবে। ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ি ঘিরে শাসকদলের সমর্থকেরা স্লোগান দেন, ‘চোর এসেছে। সব দলের থেকে খেয়েছে। এ বার গেরুয়া শিবিরের পালা।’
এ বার আর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেননি নুসরত জাহান। কিন্তু নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। বেলা একটু বাড়তেই তাঁকে দেখা গিয়েছে তাঁর বাড়ির পাশে, বালিগঞ্জের আব্দুল ওয়াহিদ মেমোরিয়াল স্কুলে। সেখানে ভোটার কার্ড দেখিয়ে, ছবি তুলে ভোট দেন নায়িকা। তিনি একাই এসেছিলেন।
মাকে নিয়ে ভোটের ময়দানে রাজ-শুভশ্রী। সংগৃহীত।
ভোট দিতে এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তীও। মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা ভোট দিতে আসেন। সঙ্গী স্ত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, ভাগ্নি সৃষ্টি পাণ্ডে। ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় উপস্থিত আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় ধরা দেন সপরিবার। এ দিন চক্রবর্তী পরিবারের প্রত্যেকে সাদা পোশাকে রংমিলন্তি।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর নির্বাচন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সায়নী ঘোষ। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট বুথে প্রার্থী পৌঁছে যান। সঙ্গে দলীয় সমর্থকেরা। ভোট দেওয়ার আগে তিনি ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। নিজ হাতে শিবলিঙ্গের পুজো করে তার পর পা রাখেন বুথে।