TMC-BJP

দেবাংশু, সৌমেন্দুদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তমলুকে, উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী। অন্য দিকে, বিজেপির সৌমেন্দুও মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কাঁথি থেকে তমলুকে এসেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৪ ১৭:১৮
Share:

জেলাশাসকের অফিসের বাইরে উত্তেজনা। —ফাইল চিত্র ।

তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল তমলুকে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন তমলুক এবং কাঁথি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ও উত্তম বারিক। ওই সময়েই কাঁথি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীও মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। তৃণমূল এবং বিজেপি— যুযুধান দুই পক্ষের সমর্থকেরা সামনাসামনি হতেই বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের উদ্দেশে ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরাও। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশবাহিনী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী। অন্য দিকে, বিজেপির সৌমেন্দুও মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কাঁথি থেকে তমলুকে এসেছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকেই জেলাশাসকের দফতরের সামনের রাস্তা অস্থায়ী ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। শুধুমাত্র প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গে থাকা প্রস্তাবক এবং দেহরক্ষীদেরই ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সৌমেন্দুকে অভিনন্দন জানাতে আগে থেকেই ব্যারিকেডের সামনে হাজির ছিলেন বিজেপির কয়েক জন নেতা-কর্মী। অন্য দিকে, তৃণমূলের প্রার্থীরা এলে তাঁদের নিয়ে মিছিল করে এগিয়ে আসেন শাসকদলের কর্মীরা। সেই সময়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে দেখে স্লোগান দিতে শুরু করে। ‘চোর চোর’ স্লোগান ঘিরে বাদানুবাদ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশবাহিনী তড়িঘড়ি দুই পক্ষকে রাস্তার দু’দিকে সরিয়ে দেয়।

তবে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুর মনোনয়নে যোগ দিতে এসে বিড়ম্বনার মুখে পড়েন তাঁর বাবা তথা কাঁথির বিদায়ী সাংসদ শিশির অধিকারী। আঁটসাঁট সুরক্ষার ঘেরাটোপে জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার পথে তাঁকে আটকে দেন পুলিশকর্মীরা। এই নিয়ে কিছু সময়ের জন্য আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে জেলাশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি পান শিশির। যদিও সেই নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি বর্ষীয়ান নেতা। শিশির বলেন, “ছেলে সৌমেন্দুর মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি। প্রস্তাবক হতে এসেছি। তবে কে বা কারা আমাকে আটকাতে চেষ্টা করেছিল, তা জানি না। আমি রাস্তা ফাঁকা পেয়েই চলে এসেছি।’’ শিশির আরও দাবি করেন, “এ বারের ভোটের ফলাফল ইতিমধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রাম যে পথ দেখিয়েছে, সেই একই পথে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে হারবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement