সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া’ নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। সেই নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হল। অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার এক তরফা ভাবে কমিশনার নিয়োগ করছে। সেই নিয়োগ আটকাতেই শীর্ষ আদালতে মামলা হল নতুন করে। আগামী ১৫ মার্চ সেই মামলা শুনানি রয়েছে।
গত শনিবার আচমকাই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। নির্বাচন কমিশনের তিন জনের বেঞ্চে এখন শুধু রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। অরুণের ইস্তফা দেওয়ার ফলে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনারের দুই পদই। উল্লেখ্য, গত মাসেই অন্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন অনুপ পাণ্ডে।
কমিশনের শূন্য দুই পদে নিয়োগের ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল। সেই প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও থাকেন তাঁর ঠিক করা এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। অতীতে এই প্যানেলে থাকতেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু ডিসেম্বরে কেন্দ্র সরকারের আনা নতুন আইন অনুসারে প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই আইন নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, এমন ব্যবস্থা দেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারকে বৃহত্তর ক্ষমতা দেয়। যা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সেই একই অভিযোগ তুলে আবারও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হল।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ, মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে মামলা গ্রহণের বিষয়টি জানায়। প্রসঙ্গত, কমিশনার নিয়োগের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের তরফেও একটি মামলা করা হয়। সূত্রের খবর, একসঙ্গে দু’টি মামলার শুনানি হতে পারে।