সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীদের কেন্দ্রে ভোট কাটানোর জন্য সমনামী প্রার্থী দাঁড় করানোর যে ‘ট্রেন্ড’ শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সমনামী প্রার্থী দেওয়ার বিরুদ্ধে কোনও রায় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
মামলা খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি বিআর গভাইয়ের মন্তব্য, ‘‘যদি কারও বাবা, মা একই ধরনের নাম দিয়ে থাকেন, তা হলে তাঁকে ভোটে লড়তে বাধা দেওয়া যাবে কী ভাবে? রাহুল গান্ধী বা লালু প্রসাদ যাদব অন্য কারও নাম হতে পারে না? হলে তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার নেই?’’
লোকসভা হোক বা বিধানসভা, যে কোনও ভোটেই বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা যায়, বড় বড় দলের তারকা প্রার্থীদের সঙ্গে একই নামের অন্য কয়েক জন প্রার্থীও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। যেমন, নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে হয়তো দেখা গেল নির্দলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন অন্য কোনও নরেন্দ্র। এটি নির্বাচনী লড়াইয়ের অন্যতম কৌশল বলে পরিচিত। প্রতি ভোটেই এমন ঘটনা কোথাও না কোথাও দেখা যায়।
লোকসভা ভোটের আবহে ইচ্ছাকৃত ভাবে সমনামী প্রার্থী দাঁড় করানোর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। অভিযোগ, এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হন। তাঁরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভোট দিয়ে ফেলেন সমনামী অন্য প্রার্থীকে। এতে তারকা প্রার্থীর ভোট কমে যায়। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, এই কৌশলের কারণে অতীতে একাধিক বার তারকা প্রার্থীকে সামান্য ব্যবধানে ভোটে হেরে যেতেও দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, তাঁর অধিকাংশ ভোটই পড়েছে সমনামী ওই প্রার্থীর নামে। জনগণের স্বার্থেই এই কৌশল বন্ধ হওয়া দরকার বলে আবেদন করেছিলেন মামলাকারী। কিন্তু আদালত তাতে সায় দেয়নি।
চলতি লোকসভা ভোটেও সমনামী প্রার্থীদের কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে একাধিক কেন্দ্রে। তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম লোকসভা কেন্দ্রে এ বার নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভম। কিন্তু তিনি ছাড়াও ওই কেন্দ্রে আরও চার জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের পদবী পনিরসেলভম। একই সমস্যা তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রেও।