তেহট্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
বিজেপির দাবি, তেহট্টে শুক্রবার মোদীর সভায় জনসমাগম অতীতের নজির ভেঙে দিয়েছে। সভাস্থলে মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, পাশের জেলা থেকে লোক এনে তেহট্টের সভায় জড়ো করেছে বিজেপি।
তেহট্টে জনসমাগম। —নিজস্ব চিত্র।
অমৃতা রায় ছাড়াও তেহট্টের মঞ্চে ছিলেন রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং বহরমপুরের প্রার্থী নির্মল সাহা। তাঁদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী।
মোদী জানান, তিনি সরাসরি পরিষেবায় বিশ্বাসী। তাই তৃণমূলকে নয়, সোজা মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চান। তৃণমূল সরকারের তা পছন্দ না হওয়ায় তারা টাকা আটকে দেয়।
সন্দেশখালিতে কী চলছে, তৃণমূল নেতারা জানতেন। সেখান থেকে কী কী উদ্ধার হচ্ছে, সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এই গুলিবারুদ কি বাংলাকে মজবুত করার জন্য মজুত করা হয়েছিল?
মতুয়াদের ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য সিএএ আনার কথা বলছে আমাদের সরকার। সবাই ভেবেছিল, তৃণমূল সিএএ সমর্থন করবে। কিন্তু তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। সিএএ-র বিরোধিতা করছে। তৃণমূলকে এটা জানতে হবে, সিএএ ওরা আটকাতে পারবে না। মতুয়ারা সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কেউ আটকাতে পারবেন না।
নদিয়ায় গিয়ে বাংলার শাসকদলকে আক্রমণ করলেন মোদী। বললেন, ‘‘গরিবের রেশনকেও ছাড়েনি তৃণমূল। সর্বত্র দুর্নীতি। তৃণমূল এবং ‘ইন্ডি’ জোটের উপর থেকে মানুষ আস্থা হারিয়েছে।
দেশে ১৫টা সিটও পাবে না তৃণমূল। সরকার গড়বে কী ভাবে? কংগ্রেস তো এ বার ‘হাফ সেঞ্চুরি’ও করতে পারবে না। ৫০-এরও কম আসন পাবে। এরা সরকার কী ভাবে গড়বে? সরকার একমাত্র গড়তে পারে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার তেহট্টেই সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছিলেন বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তেহট্টের সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মমতা আক্রমণ করেছেন মোদীকে।
কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় তেহট্টে মোদীর সভামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।