প্রতীকী ছবি।
প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণ পর্বের ভোটদানের হার নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়। প্রথমে নির্বাচন কমিশন যে তথ্য প্রকাশ করেছিল, পরে তা পাল্টে যায়। কেন ভোট সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে দেরি করল কমিশন, তা নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারী আবেদন করেছিলেন, নির্বাচন চলাকালীন কমিশন তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভোটদানের হার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করুক। শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
ভোটপর্ব শেষের বেশ কয়েক দিন পরে প্রথম দু’ফার ভোটের হার বৃদ্ধি নিয়ে দেশ জুড়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল কমিশনের এই কাজ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। সেই আবহেই ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ নামে এক সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। শুক্রবার রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘আমরা এমন কিছুতে বাধা দিতে পারি না, যা ইতিমধ্যেই চলছে। আমরা কোনও প্রক্রিয়ায় বাধা দেব না। আমাদের কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রাখতে হবে।’’
বুধবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারী আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে কমিশন বুথভিত্তিক ভোটদানের হারের তথ্যও প্রকাশ্যে আনে। হাতে তথ্য থাকার পরেও কেন তা প্রকাশ করা হবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারী। এই মামলায় কমিশন আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, বুথভিত্তিক ভোটের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার কোনও আইন নেই। এই তথ্য প্রকাশ পেলে তা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। যে সব ক্ষেত্রে জয়ের ব্যবধান কম থাকে, বিশেষ করে সে সব ক্ষেত্রে ১৭সি ফর্মের (বুথভিত্তিক ভোটদানের হার) তথ্য প্রকাশ পেলে, তা ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলবে।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট কমিশনের পক্ষেই রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘এখন নির্বাচন চলছে। তাই এখনই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা যাবে না।’’ মূল মামলার সঙ্গে মামলাকারীর নতুন আবেদন সংক্রান্ত বিষয়টি জুড়ে দেওয়ার কথাও বলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, ‘‘শনিবার দেশে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কমিশনের লোকবলের প্রয়োজন রয়েছে। তাই গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরই এই মামলার আবার শুনানি হবে।’’