হোটেল থেকে উদ্ধার টাকা ও মোদীর সভায় হাজির সমিত মণ্ডলের ছবি কমিশনে জমা দিল তৃণমূল। ফাইল ছবি।
বিজেপি নেতাকে নগদ টাকা সমেত গ্রেফতার করায় বদলি হয়েছেন পুলিশ সুপার। এমনই অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। মঙ্গলবার বাংলার শাসকদলের তরফে ওই চিঠিটি দিয়েছেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। রবিবার বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলকে হিসাব-বহির্ভূত নগদ ৩২ লক্ষ টাকা সমেত ধরে জেলা পুলিশ। তারপরেই ওই জেলারই পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে বদলি করা হয়। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না, এমন পদে তাঁকে বদলি করা হবে তাঁকে।
চিঠিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা অভিযোগ করেছেন, ১৯ মে মেদিনীপুরের একটি হোটেল থেকে নগদ সমেত ওই বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলকে ধরা হয়। একটি হোটেলে হানা দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে বিজেপি দলের যোগযোগ ধরা পড়েছে। ধৃত সমিত মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে শিবু শিট নামে এক ব্যক্তির। যিনি আবার বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর জনসভার মঞ্চেও দেখা গিয়েছে। সেই সভার ছবি ও যাবতীয় তথ্য প্রমাণ চিঠির সঙ্গে কমিশনে জমা দিয়েছে তৃণমূল।
এ ভাবে পুলিশ সুপারকে বদলি করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এই ঘটনা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনাচক্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার বদলের আগেই পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপারকেও সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ডেরেক। প্রসঙ্গত, পুলিশ সুপার ধৃতিমানকে বদলির পর নিজের এক্স হ্যান্ডলে গর্জে উঠেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘রবিবার বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলকে হিসাব-বহির্ভূত নগদ ৩২ লক্ষ টাকা সমেত ধরেছে জেলা পুলিশ। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভামঞ্চেও দেখা গিয়েছিল। ওই জেলারই এসপিকে সোমবার বদলি করে দিল নির্বাচন কমিশন। এটাই মোদীর গ্যারান্টি। ধর্ষক এবং দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল।’’