দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদ। নিজস্ব চিত্র।
‘জনগর্জন’ সভার প্রচারে পশ্চিম বর্ধমানে এলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে তিনি জানান, ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভার প্রচারেই তাঁর সফর। তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে আসানসোলের ঘাঘড়বুড়ি মন্দিরে পুজো দেন। মঙ্গলবার সকালে যান দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে। সেখানে ব্যাট হাতে নেমে পড়েন।
কীর্তি জানান, ১৯৮২ সাল নাগাদ বোকারো স্টিলের কর্মী হিসেবে আন্তঃইস্পাত ক্রিকেট খেলতে দুর্গাপুরে এসেছিলেন। এ দিন মাঠে তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার-সহ অনেকে। তাঁকে কি তৃণমূল প্রার্থী করতে চলেছে? কীর্তির জবাব, ‘‘আমি এখানে এসেছি জনগর্জন সভায় এলাকার মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাতে। প্রার্থী কে হবেন, তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দল ঠিক করেন। আমাদের কাজ নেত্রীর নির্দেশ কার্যকরী করা।’’ বিজেপির সমালোচনায় সরব হন তিনি।
লোকসভা ভোটের আগে কীর্তি দুর্গাপুরে আসায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে তাঁকে এখানে প্রার্থী করা হতে পারে কি না, সে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই এ দিন বলেন, ‘‘যে ভাবে কীর্তি আজাদ কপিল দেবের সঙ্গে দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন, সে ভাবেই এখানে বিজেপির হাত থেকে কেন্দ্র উদ্ধারে তাঁকে প্রার্থী করতে পারেন দলীয় নেতৃত্ব।’’ দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘উনি এসেছেন জনগর্জন সভার প্রচারে। এর বেশি এখন কিছু বলার নেই।’’
বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূলের হয়ে যিনিই দাঁড়ান না কেন, হারবেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র বিজেপির হাতেই থাকবে।’’