—প্রতীকী ছবি।
জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির কর্মী ও সহায়িকা সংখ্যা পর্যাপ্ত রয়েছে কি না জানতে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন। সেই মতো তথ্য রিপোর্ট আকারে তৈরি করছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে আদালতে মামলা হওয়ায় সেই সময় থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকা নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আদালতে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কর্মী ও সহায়িকা ফের নিয়োগের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির মাথায় রয়েছেন জেলাশাসক এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন কারা মন্ত্রী অখিল গিরি।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার জানতে চায় জেলায় কত পদ শূন্য রয়েছে। তাই শুক্রবার মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে জেলাশাসকের দফতরে। বৈঠকে জেলার রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জানা গিয়েছে, জেলায় সরাসরি সরকারিভাবে ৬,৩৪৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। অনুমোদিত কর্মী, সহায়িকার সংখ্যা ৬ হাজার ৩৪৩ জন। কর্মীর পদ ফাঁকা রয়েছে অন্তত ১৩০০টি। ১৬০০টি সহায়িকার পদ শূন্য রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, সহায়িকা থেকে পদোন্নতি কর্মী হতে পারে, এরকম সংখ্যা ৭০০ টি। ২০১৪ সালে কর্মী ও সহায়িকা মিলে নিয়োগের জন্য প্রায় এক হাজার জনের তালিকা তৈরি হয়ে রয়েছে। কিন্তু আদালতে মামলা চলার জন্য তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। বর্তমানে জেলা প্রশাসন কীভাবে ওই তালিকা থেকে নিয়োগ করবে, তা জানতেও রাজ্য সরকারের কাছে রূপরেখা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ফের জেলাশাসকের দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠক হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অঙ্গনওয়াড়িতে নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে। কম কর্মী দিয়ে কাজ করায় চাপ বাড়ে অন্যদের উপরে। এ ব্যাপারে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেল্পার্স ইউনিয়নে’র যুগ্ম সম্পাদিকা সুতপা দোলুই বলেন, ‘‘লোকবল কম হওয়ায় আমাদের অসংখ্য কর্মী একাধিক কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন। এতে কাজের চাপ বাড়ছে। অতি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু করা উচিত।’’
লোকসভা ভোটের আগে কি ওই নিয়োগ শুরু হবে?
জেলা প্রশাসনের একাংশের দাবি, ভোটের আগে নিয়োগ সম্ভব নয়। কারণ, নিয়োগ করতে হলে বিজ্ঞাপন দিতে হবে এবং আবেদন করার সময় দিতে হবে। তারপর আবেদনপত্র জমার পরে শুরু হবে সেগুলি পরীক্ষা করা। তা বেশ সময় সাপেক্ষ। এই কম দিনে তা সম্ভব নয় বলে দাবি। এ ব্যাপারে জেলাশাসক তনবীর আফজল বলেন, ‘‘আগামী কাল, মঙ্গলবার কমিটির বৈঠক রয়েছে। রাজ্য সরকারকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’