জন বার্লা। —ফাইল চিত্র।
দলের তরফে চলছে দু’টি সমীক্ষা। যার একটিতে ‘পিছিয়ে’ জন বার্লা! আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে জেলার গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু
হওয়া চর্চা থেকে অন্তত এমন কথাই উঠে আসছে।
জেলার বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তো দূরের কথা, গত পাঁচ বছরে বার্লা আলিপুরদুয়ারে দলের ‘ক্যাডারদের’ একটা বড় অংশের সঙ্গেই সে অর্থে যোগাযোগ রাখেননি, রাজ্য বিজেপির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় অন্তত তেমন কথা উঠে এসেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফেও পেশাদার সমীক্ষক
দলকে নিয়ে আর একটি সমীক্ষা চলেছে। তার নিরিখে বার্লার টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ। তবে বিজেপির একাংশ, দলের জেলা সভাপতি তথা বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে টিকিট পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বার্লা। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। কিন্তু বিজেপি সূত্রেরই খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি কেন্দ্রে বদল হতে পারেন দলের প্রার্থী, সম্ভাব্য সে তালিকায় থাকতে পারে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রও।
আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির এক নেতা জানান, অতি সম্প্রতি দলের তরফে এক সমীক্ষায় জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বের একাংশের আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে দলের প্রার্থী নিয়ে মত চাওয়া হয়। তাতে অনেকেই বার্লার বিপক্ষে মত দেন। ওই বিজেপি নেতার দাবি, “ওই সমীক্ষায় অনেকেই মনোজ টিগ্গাকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী চেয়েছেন।” এ প্রসঙ্গে বার্লা বলেন, “আলিপুরদুয়ারে বিজেপির প্রার্থীই নির্বাচনে দাঁড়াবেন। বাকি কিছু জানার থাকলে, তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলুন।” কিন্তু বিজেপির নেতাদের একাংশই তো জানাচ্ছেন, প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমীক্ষায় তাঁর বিরুদ্ধে মত যাচ্ছে! এ ক্ষেত্রেও বার্লার উত্তর, “তৃণমূলকে জিজ্ঞাসা করুন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সদস্য প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ঘিরে শুধু আলিপুরদুয়ারের সাংসদ নন, ওঁর দল বিজেপিও তৃণমূলকে নিয়ে ভয়ে রয়েছে। তাই এ সব
কথা বলছেন।” বিজেপির জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা বলেন, “সব সময় দায়িত্বশীল এক জন কর্মী হিসাবে দলের কাজ করে গিয়েছি। আগামী দিনে দল যে দায়িত্ব দেবে, তা-ও পালন করব।” বিজেপির জেলার এক নেতা জানান, কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় বার্লাকে নিয়ে কী রিপোর্ট জমা পড়ে, সেটাও দেখবে দল।