বরুণ গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
ছেলে বরুণ গান্ধী না মা মেনকা গান্ধী? না কি দু’জনেই? টিকিট-ভাগ্য নিয়ে চর্চা বাড়ছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি শিবিরে। আগামী পরশু বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক। সূত্রের মতে, ওই বৈঠকেই উত্তরপ্রদেশের বাকি ২৪টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
পিলিভিটের সাংসদ বরুণ কৃষক আন্দোলনের সময়ে দলের নীতির বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার মুখ খুলেছিলেন। তা আদৌ ভাল ভাবে নেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই দলের একাংশ বরুণের পরিবর্তে মেনকাকে তাঁর পুরনো আসন সুলতানপুর থেকে টিকিট দিতে আগ্রহী বেশি। বরুণ ঘনিষ্ঠদের মতে, শেষ পর্যন্ত বিজেপি তাঁকে টিকিট না দিলে তিনি পিতা সঞ্জয় গান্ধীর মতো অমেঠী কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারেন। তবে রাহুল গান্ধী যদি অমেঠী কেন্দ্র থেকে না দাঁড়ান, তবেই বরুণ ওই আসন থেকে দাঁড়াবেন। বরুণ চান তিনি যদি নির্দল হিসেবে অমেঠী থেকে লড়েন, তা হলে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি তাঁকে যেন সমর্থন করে। সে ক্ষেত্রে অমেঠী কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে সরাসরি বরুণের লড়াইয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু কংগ্রেস কি অমেঠী ছাড়বে— সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।
উত্তরপ্রদেশের আর একটি আসন নিয়েও বিজেপির অন্দরে মতবিরোধ রয়েছে। কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি বিতর্কিত সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে টিকিটি দিতে তীব্র আপত্তি রয়েছে দলের একাংশের। পরিবর্তে কাইসরগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁর ছেলে তথা বিধায়ক প্রতীককে টিকিট দেওয়ার ভাবনা রয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের। যদিও ব্রিজভূষণ নিজে প্রার্থী হতে চান।
দলের এক নেতার কথায়, ‘‘ব্রিজভূষণ প্রার্থী হলেই ফের মহিলা কুস্তিগিরদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ যেমন সামনে আসবে, তেমনই দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। তাই তাঁর ছেলেকে ওই আসনে দাঁড় করানোর কথা ভাবা হচ্ছে।’’
গাজ়িয়াবাদ কেন্দ্র থেকে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিংহ, বরেলি কেন্দ্র থেকে সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের টিকিট পাওয়া নিয়ে দলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, দু’জনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দাগ কাটতে ব্যর্থ। উপরন্তু দু’জনের বয়স ৭২ বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে। সে কারণে এ যাত্রায় নতুন কোনও মুখকে টিকিট দিতে উৎসাহী দল।