Lok Sabha Election 2024

বিরবাহার গ্রুপত্যাগে শোরগোল 

রবিবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। গ্রুপ ছাড়ার পরে ‘ক্ষুব্ধ’ মন্ত্রী জেলার এক সহ-সভাপতিকে নাকি জানান, গ্রুপে প্রচার সংক্রান্ত কোনও আলোচনা হচ্ছে না।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১২
Share:

বিরবাহা হাঁসদা। —ফাইল চিত্র।

দলীয় নির্বাচনী সংসদীয় কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে আচমকাই বেরিয়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তাঁকে ফের ওই গ্রুপে ঢুকিয়েছেন জেলা তৃণমূলে সভাপতি দুলাল মুর্মু। আজ, বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে দলীয় নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এমন ঘটনায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম লোকসভায় নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১৩ মার্চ ৪২ জনের নির্বাচনী কমিটি গঠিত হয়। কমিটির চেয়ারম্যান হন দুলাল। ১৭ মার্চ ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি পুর ময়দানে সংসদীয় এলাকার কর্মী সম্মেলনে সেই নির্বাচনী কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৭ করা হয়। তারপর ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিটে ‘ঝাড়গ্রাম পি.সি ইলেকশন কমিটি ২০২৪’ নামে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপটি তৈরি করেন দুলাল। নির্বাচনী প্রচার কৌশল কী হবে, কবে, কোথায়, কখন প্রচারে কোন কোন নেতা-নেত্রীকে কী, কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, সে সব আলোচনার জন্য এই গ্রুপ। কিন্তু জেলা নেতাদের একাংশের অনুযোগ, গোড়া থেকেই তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থার তরফে প্রার্থীর প্রচার কর্মসূচি স্থির করে দেওয়া হচ্ছে। জেলা নেতারা তা জানতেও পারছেন না। বরং পরামর্শদাতা সংস্থার তৈরি মিডিয়া হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে মাঝেমধ্যে আগাম প্রচার সূচি পোস্ট করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, এতে ভীষণই অসন্তুষ্ট হন মন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বিরবাহা হাঁসদা। তারপর রবিবার গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। গ্রুপ ছাড়ার পরে ‘ক্ষুব্ধ’ মন্ত্রী জেলার এক সহ-সভাপতিকে নাকি জানান, গ্রুপে প্রচার সংক্রান্ত কোনও আলোচনা হচ্ছে না। কেবল বিভিন্ন জায়গায় হয়ে যাওয়া প্রচারের ছবি পোস্ট করে গ্রুপ ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রয়াত ভাইয়ের পারলৌকিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল। বিষয়টি তাঁর নজরে আসতেই বুধবার মন্ত্রীকে ফের গ্রুপে যুক্ত করেন তিনি।

Advertisement

তবে বিরবাহা প্রকাশ্যে বলছেন, ‘‘গ্রুপে এত ছবি পোস্ট করা হচ্ছিল যে আমার মোবাইল ঠিকমতো কাজ করছিল না। গ্রুপে তো অন্য কিছু দরকারি পোস্ট হচ্ছিল না। তাই গ্রুপ ছেড়েছিলাম। জেলা সভাপতি বুধবার ফের আমাকে যুক্ত করেছেন দেখলাম।’’ তিনি আরও জুড়েছেন, ‘‘আমি বসে নেই। নিজের ঝাড়গ্রাম বিধানসভা এলাকার ১৪টি অঞ্চলের মধ্যে ৮টিতে কর্মিসভা ও প্রথম পর্যায়ে প্রচার শেষ করেছি। বাকিগুলিতেও করব।’’

জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী মানছেন, ‘‘সংসদীয় নির্বাচনী কমিটির এখনও সংগঠিত রূপ দেওয়া যায়নি। সে জন্য কিছু সমস্যা হচ্ছে। এখনও অনেকটা সময় আছে। আমরা এটা কাটিয়ে উঠব।’’ আর দুলালের বক্তব্য, ‘‘বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচি হয়ে যাওয়ার পর প্রচারের রুটম্যাপ তৈরি করে দলের সকলকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement