বাঁ দিক থেকে রাহুল গান্ধী, স্মৃতি ইরানি। — ফাইল চিত্র।
আত্মবিশ্বাস থাকলে ওয়েনাডে না গিয়ে অমেঠী থেকে লড়ুন রাহুল গান্ধী! নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন সাংসদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বর্তমান সাংসদ স্মৃতি ইরানি। লোকসভা ভোটের আগে সোমবার অমেঠীতে স্মৃতির চার দিনের সফর শুরু হয়েছে। আবার একই দিনে অমেঠীতে প্রবেশ করেছে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। সেই নিয়েও রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন তাঁর এককালের প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি। তাঁর দাবি, অমেঠীর মানুষ ছেড়ে দিয়েছে রাহুলকে।
সোমবার স্মৃতি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘২০১৯ সালে তিনি অমেঠী ছেড়েছিলেন। আজ অমেঠী তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাসী হলে ওয়েনাডে (রাহুলের বর্তমান কেন্দ্র) না গিয়ে অমেঠী থেকে লড়ুন।’’ এখানেই থামেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘অমেঠীর খালি রাস্তা আমাদের বলে দিল, বাসিন্দারা কী ভাবেন রাহুলকে নিয়ে।’’
অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিন বার জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন রাহুল। তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও এই আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে অমেঠী গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। সেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে স্মৃতির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন রাহুল। ওই নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে থেকে মাত্র একটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। রায়বরেলীর আসনে জয়ী হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। এ বার সেই আসন ছেড়ে রাজ্যসভায় প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এ বার প্রশ্ন, রায়বরেলী থেকে কি প্রার্থী হবেন গান্ধী পরিবারেরই কেউ? এই নিয়ে স্মৃতি খোঁচা দিয়েছেন গান্ধী পরিবারকেই। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে যে গান্ধী পরিবার নিজেদের আসন ছেড়ে দেবে, ভাবতে পারিনি।’’ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, অমেঠী থেকে কে প্রার্থী হবে, স্থির করবে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি। তবে রায়বরেলী নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।