চণ্ডীপুরে ভোটের প্রচারে বামপ্রার্থী দীপ্সিতা ধর। — নিজস্ব চিত্র।
জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সবক’টি আসনে হেরেছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এ বার বাংলা এবং ভারতে বিজেপির হারার পালা। প্রচারে বেরিয়ে এমনই দাবি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের। মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে দীপ্সিতা কটাক্ষ করেন ওই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
মঙ্গলবার চণ্ডীতলা বিধানসভা এলাকার জনাই, হাটপুকুর, পূর্বপাড়া, কুমিরমোরা, জগন্নাথ বাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন দীপ্সিতা। হুডখোলা টোটোয় পাড়ায় পাড়ায় চলে বামেদের প্রচার। চলতে চলতেই জনসংযোগ সারেন জেএনইউয়ের প্রাক্তনী। তাঁকে ঘিরে ভিড় জমতেই মাইক হাতে তুলে নেন দীপ্সিতা। বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, দু’দিন আগেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বলছিল, এ বার জেএনইউতেও তারা ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, যখন ভোট হল, চারটি আসনেই বামপন্থীরা জয়ী হল। বিজেপি শূন্য হয়ে গেল। আমরা জানি, এই লাল ঝড় বাংলা তথা গোটা দেশেও আসছে। কারণ, সাধারণ মানুষ জানেন, তাদের বন্ধু কে এবং কারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে।’’
শুধু জেএনইউ নয়, এ দিন দীপ্সিতার বক্তব্যে ঘুরেফিরে আসে শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও। তাঁকে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করে দীপ্সিতা বলেন, ‘‘আমি শ্রীরামপুরের ভোটার। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে কোনও দিন কল্যাণবাবুকে যেতে দেখিনি। অথচ, গত ১৫ বছর ধরে তিনিই এমপি। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ নামে একটা সিনেমা হয়েছিল। যেখানে অনিল কপূর হাতে একটি বিশেষ ঘড়ি পরলেই অদৃশ্য হয়ে যেতেন। আমাদের এমপিও ঠিক সে রকম! কল্যাণবাবু ঘড়ি না পরেই অদৃশ্য হয়ে যান। যাঁকে চোখেই দেখা যায় না, এ রকম এমপি রেখে লাভ কী?”